বিএনএডেস্ক : ঝালকাঠিতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন দগ্ধ ২০ জনের অবস্থা আশংকাজনক । ৭২ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় , ২০ জনের অবস্থা খুবই ক্রিটিক্যাল।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী ওই লঞ্চে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ভোররাত থেকে এ পর্যন্ত (সকাল সাড়ে ৯ টা) অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৭২ জনকে বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের শরীরের ৮০ ভাগ পুড়ে গেছে। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজনের ৫০ ভাগ পুড়েছে। ৫০ থেকে ৮০ ভাগ দগ্ধ ২০ জনের মতো রোগী রয়েছেন। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খলিলুর রহমান জানান, লঞ্চে পাঁচ শতাধিক যাত্রী থাকলেও আগুনে ৭০ থেকে ৮০ জন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধ বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। তবে, এর সঠিক সংখ্যা জানাতে পারেননি তিনি।
লঞ্চের কয়েকজন যাত্রী জানান, ভোর ৩টার দিকে ঝালকাঠি সদরের ধানসিড়ি ইউনিয়নের গাবখান চ্যানেলে এমভি অভিযানের ইঞ্জিন রুমে আগুন লাগে। দ্রুতই তা পুরো লঞ্চে ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই নদীতে ঝাপ দেন। লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনা যাচ্ছিল। লঞ্চে শিশু, বৃদ্ধ, নারীসহ ৫শ’র বেশি যাত্রী ছিলেন বলে জানান তারা।
বিএনএ/ ওজি