বিএনএ ঢাকা: দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং তথ্য কমিশন সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারসহ চাঞ্চল্যকর অন্যান্য মামলার রায় দ্রুত নিষ্পত্তি করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বুধবার (২৪শে নভেম্বর) জাতীয় সংসদে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়নন্তী উপলক্ষে দেয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, দুর্নীতি, মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কারণে দেশে স্বস্তি বিরাজ করছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে। সুশাসনের লক্ষ্যে প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির আওতায় আনতে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনা, সিটিজেনস চার্টার এবং শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দল-মত নির্বিশেষে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ এবং অংশীজন সবাইকে সমন্বিতভাবে কাজ করে যেতে হবে বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকলের মধ্যে ঐক্য প্রয়োজন। সাম্প্রদায়িকতা, অগণতান্ত্রিকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক দলসমূহকে পরমতসহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি গড়ে তোলার তাগিদ দেন তিনি।
এছাড়া, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দল-মত-পথের পার্থক্য ভুলে জাতির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা ও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার মধ্য দিয়ে লাখো শহিদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করার আহবান জানান রাষ্ট্রপতি।
এর আগে বুধবার বিকেল ৩টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি