বিএনএ ডেস্ক : আরব সাগরে ভারতের ঘূর্ণিঝড় ‘তেজ’ ইয়েমেন ও ওমানসহ আরব অঞ্চলকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এর তেজ না কমার আগেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ইরানের হামুন বাংলাদেশ ও ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ধেয়ে আসছে। ২৫ অক্টোবর দুপুর নাগাদ হামুন বাংলাদেশে সমুদ্র উপকুলে তান্ডব চালাবে এমন আশংকা করছেন বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর। হামুনের তান্ডব চলাকালে সাগর থেকে তেড়ে আসবে ৬ থেকে ৮ ফুট জলোচ্ছাস। সেই সঙ্গে ভারি বৃষ্টিপাত ও থাকবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের জন্য ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করেছে। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত আর মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার অধিদপ্তরের সামুদ্রিক সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা ও কাছাকাছি দ্বীপ এবং চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে বুধবার সকাল থেকে দুপুর নাগাদ ভোলার কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অতিক্রম করতে পারে।
উপকুলীয় অঞ্চলের দ্বীপ ও চরঞ্চলের মানুষকে স্থানীয় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। বিপদ সংকেত জানিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে। হামুনের ক্ষয়-ক্ষতি কমাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্টসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে।
উল্লেখ্য, হামুন নামটি ইরানের দেওয়া। যার অর্থ হচ্ছে সমতল ভূমি বা পৃথিবী। তেজ নামটি ভারতের দেয়া। যার অর্থ শক্তি বা ক্ষুদ্ধ।
বিএনএ নিউজ/ শাম্মী, ওজি ,ওয়াইএইচ