বিএনএ, ঢাকা : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও উত্তর পূর্বদিকে এগিয়ে এসেছে। দেশের ১৩টি জেলায় মারাত্মক আঘাত হানতে পারে সিত্রাং। আর দুটি জেলায় হালকাভাবে আঘাত হানতে পারে।সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ এটি দেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে। তাই উপকূলের সব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার শতভাগ মানুষকে সন্ধ্যার মধ্যে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।
সোমবার(২৪ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের তিনি মিটিং শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
যে ১৩টি জেলায় সিত্রাং মারাত্মক আঘাত হানবে তার মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী এবং ফেনী। অর্থাৎ চট্টগ্রাম, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের বেশিরভাগ জায়গায় এটি আঘাত হানবে এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের দ্বীপ অঞ্চলগুলো বিশেষ করে মহেশখালী, সন্দ্বীপ এগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
এসব অঞ্চলে লোক সরানোর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে বেশি আঘাত হানবে। চট্টগ্রাম বিভাগের মহেশখালী, সন্দ্বীপ বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখান থেকে মানুষ সরাতে কাজ চলছে। সিডর ছিল সুপার সাইক্লোন। এটা সিভিয়ার সাইক্লোন।’
বিপদ সংকেত কত পর্যন্ত যেতে পারে? একজন সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা মহাবিপদ সংকেত পর্যন্ত যেতে পারে।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
বিএনএ/ ওজি