18 C
আবহাওয়া
৮:১০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্রাণঘাতী ছত্রাক সংক্রমণ “নিঃশব্দ মহামারি”

প্রাণঘাতী ছত্রাক সংক্রমণ “নিঃশব্দ মহামারি”

ছত্রাক সংক্রমণ

বিশ্ব ডেস্ক:  সম্প্রতি *দ্য ল্যানসেট* এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় সতর্ক করা হয়েছে যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী সংক্রমণ ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ৪ কোটি মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে। গবেষণায় উঠে এসেছে, ১৯৯০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ড্রাগ-প্রতিরোধী সংক্রমণ প্রতিবছর ইতিমধ্যে এক মিলিয়নেরও বেশি মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এই সংখ্যা ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর প্রায় দুই মিলিয়ন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, যার ফলে পরবর্তী ২৫ বছরে ৪ কোটি মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। খবর ডেইলি স্টার লেবানন।

গবেষণায় জোর দেওয়া হয়েছে, উন্নত চিকিৎসা এবং সঠিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রাপ্তি বাড়ানো গেলে এক-তৃতীয়াংশ প্রাণহানি রোধ করা সম্ভব। অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) তখন ঘটে, যখন ব্যাকটেরিয়া অভিযোজিত হয়ে ওষুধের প্রতি প্রতিরোধী হয়ে ওঠে, যার ফলে আগে নিরাময়যোগ্য রোগ যেমন নিউমোনিয়া, মূত্রনালী সংক্রমণ (ইউটিআই), এবং ডায়রিয়া প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে।

এই বাড়তি প্রতিরোধ ক্ষমতা গবেষকদের মতে “নিঃশব্দ মহামারি” হিসেবে তৈরি হয়েছে, যা বৈশ্বিক মনোযোগ দাবি করে। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিকুলার বায়োলজিস্ট নরম্যান ভ্যান রাইন ব্যাখ্যা করেছেন যে, যদিও ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ ব্যাপকভাবে আলোচনা হয়, ছত্রাকজনিত প্যাথোজেন এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল প্রতিরোধের ক্রমবর্ধমান হুমকি উপেক্ষিত হচ্ছে।

ভ্যান রাইন এবং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দল ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি এবং সরকারগুলিকে শুধু ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধের চেয়ে ব্যাপকভাবে এই বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা সতর্ক করেছেন, যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে ছত্রাক সংক্রমণ প্রতি বছর ৬.৫ মিলিয়ন মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে এবং ৩.৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে।

ব্যাকটেরিয়ার ওষুধ প্রতিরোধের ওপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেওয়া উদ্বেগের কারণ, কারণ সাম্প্রতিক দশকগুলিতে অনেক ড্রাগ-প্রতিরোধী চ্যালেঞ্জ ছত্রাকজনিত রোগ থেকে এসেছে, যা জনসাধারণ এবং নীতিনির্ধারকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে অগ্রাহ্য হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, বর্তমানে গভীর বা আক্রমণাত্মক ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য মাত্র চারটি সিস্টেমিক অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্রেণী উপলব্ধ, এবং এসব ওষুধের প্রতি প্রতিরোধ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলিতে নতুন অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ তৈরি হয়েছে, গবেষকরা উল্লেখ করেছেন যে প্যাথোজেনের অভিযোজন এবং চিকিৎসার মধ্যে প্রতিযোগিতা দ্রুত তীব্রতর হচ্ছে। তারা ব্যাখ্যা করেছেন যে কৃষি শিল্প দ্বারা তৈরি ফাঙ্গিসাইড প্রায়ই ক্রস-প্রতিরোধ ঘটায়, যা ছত্রাক সংক্রমণের চিকিৎসাকে জটিল করে তোলে।

লেখকরা খাদ্য নিরাপত্তার ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন—যেখানে ফাঙ্গিসাইড গুরুত্বপূর্ণ—সেই সাথে বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ড্রাগ-প্রতিরোধী ছত্রাকজনিত প্যাথোজেনগুলির চিকিৎসার ক্ষমতাও নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র;মূল আর্টিকেল: Deadly Fungal Infections Pose “Silent Pandemic,” Could Kill 40 Million in 25 Years

বিএনএ, এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ
কোহলিকে জরিমানা অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বৈধতা অর্জন করতে হবে বায়ুদূষণ থেকে রক্ষা পেতে Air Quality Index অনুসরণের আহ্বান অগ্নিকাণ্ডে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে ২ টি কমিটি গঠন শিক্ষার মান উন্নয়নে সবার সহযোগিতা অপরিহার্য-প্রাথমিক গণশিক্ষা উপদেষ্টা তিতাসের অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে অভিযান অব্যাহত অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্রে জড়িতদের ছাড় নেই- আসিফ মাহমুদ ত্রিপুরাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী বেনজীরের গুন্ডাদের রেহাই নেই-পার্বত্য উপদেষ্টা জোরারগঞ্জে জামায়াতের কর্মী শিক্ষা বৈঠক ও সম্মেলন সম্পন্ন রাজধানীতে নারীর মরদেহ উদ্ধার