বিএনএ, চট্টগ্রাম: বিশ্বের ১০০ ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় নয় ধাপ পিছিয়ে গেল চট্টগ্রাম বন্দর। একটানা সাত বছর বৈশ্বিক ক্রমতালিকায় এগিয়ে যাওয়ার পর এবারই ছন্দপতন ঘটল। বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ৬৭তম স্থানে।
সোমবার (২৩ আগস্ট) রাতে লন্ডনভিত্তিক শিপিংবিষয়ক বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো সংবাদমাধ্যম লয়েডস লিস্ট ২০২০ সালে সারা বিশ্বের বন্দরগুলোর ব্যস্ততা অর্থাৎ কন্টেইনার পরিবহনের সংখ্যা হিসাব করে শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকাটি প্রকাশ করে। লয়েডস লিস্টের তালিকায় বরাবরের মতো শীর্ষে রয়েছে চীনের সাংহাই। এর পরের অবস্থানে আছে সিঙ্গাপুর বন্দর। এ তালিকায় বিশ্বের শীর্ষ ১০ বন্দরের মধ্যে ৭টিই চীনের।
লয়েডস লিস্টের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার পরিবহন কমেছে ৮ শতাংশ। গত বছর বিশ্বে ৬৩ কোটি ২০ লাখ একক কনটেইনার পরিবহন হয়েছে। এই সংখ্যা ২০১৯–এর তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ কম। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দর ২৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৭৭ টিইইউএস কন্টেইনার পরিচালনা করেছে। ২০১৯ সালে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার ১৮৭ টিইইউএস কন্টেইনার পরিচালনা করেছে। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ শতাংশ কন্টেইনার পরিচালনা কমে গেছে। ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮ তম, ২০১৯ সালে ৬৪ তম, ২০১৮ সালে ৭০ তম, ২০১৭ সালে ৭১ তম, ২০১৬ সালে ৭৬ তম ও ২০১৫ সালে ৮৭ তম স্থান দখল করে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বন্দর।
লয়েডস লিস্টের তালিকায় অবশ্য বন্দরের সেবার মান বিবেচনা করা হয় না। এরপরও তালিকায় পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ হলো বন্দর দিয়ে কন্টেইনারে বৈদেশিক বাণিজ্য কমেছে। সমুদ্রপথে দেশের কন্টেইনার পরিবহনের ৯৮ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে হয়। এতে একক বন্দর হিসেবে চট্টগ্রামের অবস্থান পিছিয়ে যাওয়ার অর্থ বৈদেশিক বাণিজ্যও কমে যাওয়া।
উল্লেখ, ২০১৩ সাল থেকে প্রতিবছর বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি বন্দরের তালিকা করে লয়েডস লিস্ট। ওই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিলো ৮৬তম। পরে প্রতিবছরই ধাপে ধাপে এগিয়ে ছিল চট্টগ্রাম বন্দর। এই তালিকায় গত বছরের তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থান ছিল ৫৮তম। ২০১৩ সাল থেকে টানা ৭ বছর চট্টগ্রাম বন্দর এগিয়ে যাওয়া ধরে রেখেছিল। এমনকি করোনার সংক্রমণ শুরুর পরও গত বছর চট্টগ্রাম বন্দরের অগ্রগতি ছিল।
বিএনএনিউজ/মনির