বিশ্ব ডেস্ক: বসনিয়ার আদালত ১৯৯২ সালে নারী ও শিশুসহ কয়েক ডজন মুসলিম বসনিয়ানকে হত্যার জন্য পাঁচ সার্বকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অপরাধীদের ৫ থেকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শনিবার(২৩ ডিসেম্বর) ডেইলি সাবাহ, শুক্রবার বসনিয়ার রাজ্য আদালত ইলিজা জোরিককে ২৯ জন নারী ও শিশুর গণহত্যায় অংশ নেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাকে সর্বোচ্চ বিশ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে যারা উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর প্রিজডোরের কাছে জেকোভি গ্রামের একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
২০১৫ সাল থেকে বিচারে থাকা এগারোজন প্রাক্তন সামরিক ও পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে ছয়জনকে খালাস দেয়া হয়েছে এবং রায় পড়ার সময় তাদের কেউই আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
প্রসিকিউটরের অফিস জানায়, জেকোভি গ্রামে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল ২৫ জুলাই, ১৯৯২ গ্রামে একটি “পরিষ্কার” অভিযানের তৃতীয় দিনে, যেখানে অন্তত ১৫০ জন বাসিন্দাকে হত্যা করা হয়েছিল,
বিচারক সাবান মাকসুমিক বলেন, নিহত ৩২ জন বেসামরিক ব্যক্তির দেহাবশেষ কখনো পাওয়া যায়নি।
বিচারক জানান, মহিলা ও শিশুরা “শৃঙ্খলভাবে” বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরে, “ইলিজা জোরিক এবং আরও কয়েকজন লোক তাদের ব্রাশফায়ার করে হত্যা করেছিল,”।
“শুধুমাত্র একটি ১৫ বছর বয়সী এক শিশু একটি বাড়িতে লুকিয়ে থাকার কারণে সে গণ হত্ছিযা হতে বেঁচে যায়”, তিনি যোগ করেন।
এই বেঁচে থাকা জিজাদ বেচিক এর বয়স এখন 46, যে আদালতে বিচারে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
তার ১০ বছর বয়সী বোন, ১২ এবং ১৬ বছর বয়সী তার দুই ভাই এবং তার মাকে হত্যা করা হয়েছিল।
“সত্যি বলতে, আমি এই রায়ে আংশিক খুশি। আমি এই অপরাধী ইলিজা জোরিককে দেখেছি এবং আমি খুশি যে আদালত আমার সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে,” রায় পড়ার পর বেচিক সাংবাদিকদের বলেন।
এই অঞ্চলে সার্বিয়ান বাহিনীর একটি কোম্পানির কমান্ডার, দুসান মিলুনিককে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অপারেশনে জড়িত ইউনিটের অন্য তিন সদস্যকে অন্য চার বেসামরিক হত্যার জন্য ৫, ৮ এবং ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বসনিয়ান যুদ্ধে (১৯৯২-১৯৯৫) প্রায় ১লাখ লোক নিহত হয়েছে।যাদের বেশিরভাগ মুসসলমান। এখনও ৭হাজার৬০০ নিহতদের দেহাবশেষ খোঁজা হচ্ছে।
বিএনএ,এসজিএন