বিএনএ,ঢাকা: বাংলাদেশের কাছে অস্ত্র বিক্রির পাশাপাশি বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তুরস্ক। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ঢাকা সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু ।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু। দেড় ঘণ্টাব্যপী বৈঠকে বাংলাদেশ-তুরস্কের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তারা।
বৈঠকে শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, তুরস্কের সঙ্গে বাণিজ্যসহ বহুপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। বাংলাদেশ সরকার তুরস্কের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার উদীয়মান সূর্য। আর সব দেশের জন্য বাংলাদেশ আজ মডেল। এশিয়া আর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ হচ্ছে তুরস্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার।
মেভলুত কাভুসোগ্লু আরও বলেন, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, প্রতিরক্ষাসহ নানা খাতে বিপুল বিনিয়োগের সুযোগ আছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা বিষয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তুরস্কের প্রতিরক্ষাপণ্যের গুণগত মান অত্যন্ত ভালো, দাম অত্যন্ত সুলভ এবং এগুলো কিনতে কোনো শর্ত আরোপ করা হয় না। বাংলাদেশ এই সুবিধাগুলোর সুযোগ নেবে বলে আশবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ঢাকা সফররত তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গণভবনে যান তিনি। সে সময় দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে কথা বলেন তারা। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শুধু মহামারিকাল নয়, সার্বিকভাবেই ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মেভলুত কাভুসোগ্লু।
সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগ্লু। এরপর বঙ্গবন্ধু ভবন ঘুরে দেখেন । পরে পরিদর্শন বইতে নিজের মন্তব্য লেখেন তিনি।তার সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় তুর্কি দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
