বিএনএ,ঢাকা: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।সীমান্তে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দু’দেশের অভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার(২৩ ডিসেম্বর)বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার দোরাইস্বামীর সঙ্গে মতবিনিময় শেষে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন,বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন অধিকতর উষ্ণ, সৌহার্দ্যপূর্ণ এবং উন্নয়নমুখী।ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং ‘৭১ এর রক্তের রাখিবন্ধনে আবদ্ধ।দুই দেশের সম্পর্কের সেতুবন্ধন সময়ের পরিক্রমায় দিন-দিন নবতর মাত্রায় উন্নীত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমুদ্র জয়ের মামলায় ভারত আপিল না করে বন্ধুসুলভ যে আচরণ করেছে তা সম্পর্কের সূত্রকে আরও সুদৃঢ় করেছে।দু’দেশের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাসের যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে তার মাধ্যমে তিস্তা সমস্যা ও অন্যান্য নদীর পানি বন্টনের আলোচনায় ইতিবাচক অগ্রগতি হয়েছে।তিস্তা পানি বন্টন অচিরেই হতে পারে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ও ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকারের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ভালো বোঝাপড়া থাকলে অনেক অমীমাংসিত ইস্যু সহজেই সমাধান সম্ভব, যার প্রমাণ বাংলাদেশ ও ভারত।দীর্ঘদিনের সীমান্ত সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় সমসার সমাধান দুদেশের পারস্পরিক আস্থাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সীমান্ত হত্যার বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে বৈঠক চলছে।এ ব্যাপারে দু’দেশের সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।সীমান্তে হত্যাকান্ড ‘জিরোতে’ আনার বিষয়ে সফল হবেন বলে জানান ওবায়দুল কাদের।
সে সময় ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ।আজকের এই সুসম্পর্কের সূচনা করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় দু’দেশের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে যা ভবিষ্যতে আরও জোরদার হবে।ভারত ও বাংলাদেশের আজকের যে সম্পর্ক, দুইদেশের এই সম্পর্কের জন্য আওয়ামী লীগের অনেক অবদান রয়েছে।করোনা ভাইরাসের কারনে আওয়ামী লীগ অনেক নেতা-কর্মীদের হারিয়েছে।এই সকল নেতা-কর্মীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন তিনি।
এছাড়া, করোনা ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ভারত সরকার বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগীতা করবে বলেও জানান বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
এর আগে সকাল ১১ টায় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এসে পৌঁছালে দলের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তাঁকে স্বাগত জানান।
পরে দোরাইস্বামী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফারুক খান ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, তথ্যমন্ত্রী ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, মির্জা আজম ও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
বিএনএনিউজ/আরকেসি
