বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া ছেলেকে বাঁচাতে লাফ দেয়া রিমি আঞ্জুমান (৩২) মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত রিমি আঞ্জুমান (৩২) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার নগর হাতল গ্রামের নাজমুল ইসলাম সবুজের স্ত্রী। এই দম্পতির তিন সন্তান আছে।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্ব) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার সালটিয়া আলতাফ গোলন্দাজ ব্রীজের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ওই এলাকায় নিখোঁজ হয় রিমি আঞ্জুমান।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের লিডার সাইফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে নিহত রিমি আঞ্জুমান তাঁর ভাই, শাশুড়িসহ পাঁচজন গফরগাঁও উপজেলার রওনা ইউনিয়নের পাঁচুয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বিকালের দিকে তাঁরা নৌকা করে ব্রহ্মপুত্র নদে জেগে উঠা চরে কাশফুল দেখতে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে ফেরার পথে ওই নারীর চার বছর বয়সী এক ছেলে নৌকা থেকে পড়ে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী নদে ঝাঁপ দেন। একই সাথে নৌকায় থাকা অন্যান্য পুরুষরা নদে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এ সময় ওই নারী ছেলেকে অন্যান্যদের হাতে তুলে দিয়ে ডুবে যান। পরে স্থানীয়রা থানায় ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে ওই দিন প্রায় দুই ঘন্টা উদ্ধার অভিযান চালায়। তবে, ওই নারীর কোন খোঁজ না পেয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন।
ফায়ার সার্ভিসের লিডার সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৭ টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করি। পরে বেলা ১১ টার দিকে নদীতে মাছ ধরার জন্য বড়শি আমাদের এক কর্মীর শরীরে আটকে যায়। পরে ওই সুতা ধরে টান দিতেই বড়শিতে আটকে থাকা মরদেহ ভেসে উঠে। মরদেহ উদ্ধারের পর আমরা স্থানীয় থানা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করি।
গফরগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ডু্বুরি দল মরদেহ উদ্ধারের পর আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে নিহতের স্বজনরা বিনাময়নাতদন্তে মরদেহ চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে দুপুরের দিকে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এই ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএ/ হামিমুর রহমান, ওজি