বিএনএ ডেস্ক: নোয়াখালীতে টিউশনি থেকে বাদ দেয়ায় ক্ষোভে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুন করেন গৃহশিক্ষক আবদুর রহিম রনি (২৫)।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। তিনি জানান, রনি বিবাহিত এবং একটি কোচিং সেন্টারের মালিক। তিনি এক বছর ধরে নোয়াখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিয়া হোসেন অদিতাকে (১৪) পড়াতেন।
পুলিশ জানায়, তিন মাস আগে তাকে টিউশনি থেকে রনিকে বাদ দেয়া হয়। তবে পূর্ব পরিচিত হওয়ায় রনি মাঝেমধ্যে অদিতাদের বাসায় যেতেন। হত্যাকাণ্ডের পর রনি ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে পুরো ঘর উলট-পালট করে ফেলেন। তবে নিহতের বাসায় কোনো মালামাল খোয়া যায়নি।
পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার আবদুর রহিম রনি নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার খলিল মিয়ার ছেলে।
নিহতের মা অভিযোগ করেন, অজি উল্যাহর ছেলে তার মেয়েকে বিভিন্ন সময় উক্ত্যক্ত করত। এজন্য তাকেও গ্রেপ্তার করার কথা জানান পুলিশ সুপার। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানায়, প্রধান আসামি গৃহশিক্ষক আবদুর রহমান রনি। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে বলে জানান নোয়াখালীর পুলিশ সুপার।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকার জাহান মঞ্জিলের বাসা থেকে তাসনিয়া হোসেন অদিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের দুই হাত ও গলা কাটা ছিলো।
নিহত তাসনিয়া হোসেন অদিতা ওই এলাকার মৃত রিয়াজ হোসেন সরকারের মেয়ে। ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় মারা যান তার বাবা রিয়াজ হোসেন সরকার। জাহান মঞ্জিলের একটি কক্ষে দুই মেয়েকে নিয়ে থাকতেন রিয়াজের স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা। শহরের একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি করেন রাজিয়া।
বিএনএ/এ আর