বিএনএ, নেত্রকোনা : নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার আমতলা-রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রাজনগর গ্রাম। এই গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে সুতি নদী। হেমন্তে পানি কম থাকলেও বর্ষায় ভয়াবহ আকার ধারণ করে। নদীটি পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো একমাত্র উপায় । বিকল্প না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হয় এলাকার মানুষ। এই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী এলাকার শিশু-শিক্ষার্থীসহ সকলের।
মনকান্দা এম ইউ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম মহিবুল্লাহ জানান, সেতুর অভাবে এলাকার রাজনগর ও রোয়াইলবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বৃদ্ধ ও নারীরা সাঁকোতে উঠতে পারেন না। কম বয়সের মানুষজন সাঁকো দিয়ে কোনভাবে নদী পারপার হতে পারলেও মালামাল পরিবহন খুবই সমস্যা হয়। এলাকার কৃষকগণ তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাত করতে পারেন না। ফলে তারা পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। সুতি নদীর উত্তর পাড়ে রাজনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় অবস্থিত।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাজুল ইসলাম জানান, এই বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রী সুতি-নদী পাড়ের বাসিন্দা। প্রতিদিন স্কুলের বই খাতা ব্যাগ পিঠে বহন করে তাদেরকে একটি বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে আশা যাওয়া করতে হয়। দূর্ঘটনার আশংকায় আমরা চিন্তিত থাকি। সুতি নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণ খুবই জরুরী।
বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সিয়াম জানায়, আমার বাড়ি নদীর দক্ষিন পাড়ে। আমি প্রতিদিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে নদী পার হয়ে বিদ্যালয়ে যাই। এতে অনেক সময় ভয় লাগে। এই নদীর উপর সেতু নির্মাণের দাবী জানাই।
রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফুর রহমান আকন্দ বলেন, বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে প্রতিদিনই ছোট ছোট শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বয়সের মানুষ সুতি নদী পারাপার হয়। আমরা চেষ্টা করছি ওই নদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মানের জন্য।
এলাকার বাসিন্দা ও নেত্রকোণা-৩ আসনের সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল জানান, সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে সুপারিশপত্র দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুতই সেতুটি হবে বলে আশা করছি।
বিএনএ/ ফেরদৌস আহমাদ বাবুল, ওজি