ধর্ম ডেস্ক: কোরআনের বিভিন্ন বর্ণনায় একটি উঁচু মানের গুণের কথা বলা হয়েছে, যেটি মানুষের ইজ্জত-সম্মান বাড়িয়ে দেয়। এটি মূলত আল্লাহ তাআলারই মহান একটি গুণ। সেই গুণটি হচ্ছে ‘ক্ষমাশীলতা’। এই একটি গুণ যার মধ্যে আছে, তার ইজ্জত-সম্মান বেড়ে যায়।
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘সদকা করলে সম্পদের ঘাটতি হয় না। যে ব্যক্তি ক্ষমা করে, আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেন। আর কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বিনীত হলে, তিনি তার মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।’(মুসলিম: ২৫৮৮)
যারা ক্ষমা করার গুণে গুণান্বিত, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে সৎকর্মশীল হিসেবেও ঘোষণা করেছেন এভাবে, ‘যারা সচ্ছল ও অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, রাগ নিয়ন্ত্রণ করে এবং মানুষকে ক্ষমা করে থাকে; আর আল্লাহ সৎকর্মশীলদের ভালবাসেন।’ (সুরা আল-ইমরান: ১৩৪)
দোষেগুণে মানুষ। মানুষের জীবনে ভুল থাকবেই। যে দোষের কারণে শাস্তির চেয়ে ক্ষমা বেশি কল্যাণকর, সেক্ষেত্রে অবশ্যই ক্ষমা করাই উচিত। আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় নবীকে এই গুণে গুণান্বিত হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন—
‘(হে নবী!) আপনি ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন করুন। সৎ কাজের আদেশ দিন এবং মূর্খদের এড়িয়ে চলুন।’ (সুরা আরাফ: ১১৯)
আল্লাহ তাআলা তাঁর নিজের এই গুণটি বান্দাদেরকেও অর্জন করতে অনুপ্রাণিত করেছেন এভাবে—‘যদি তোমরা সৎকাজ প্রকাশ্যে করো অথবা গোপনে করো অথবা যদি তোমরা অপরাধ ক্ষমা করে দাও, তাহলে জেনে রাখো যে, আল্লাহ নিজেও ক্ষমাকারী, সর্বশক্তিমান।’ (সুরা নিসা: ১৪৯)
আল্লাহ তাআলা নিজে যেমন ক্ষমা করতে ভালোবাসেন, তেমনি ক্ষমাকারীকে অনেক ভালোবাসেন এবং তাকে পুরস্কৃত করার ওয়াদা করেন। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন—‘আর মন্দের প্রতিফল মন্দ। এরপর যে ক্ষমা করে দেয় এবং আপস নিষ্পত্তি করে, তার পুরস্কার আল্লাহর কাছে রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ জালিমদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা শুরা: ৪০)
অতএব, ক্ষমায় ব্যক্তি-পরিবার-সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। ক্ষমাকারী ব্যক্তি আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত হন এবং তার মান-সম্মান বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সুতরাং এই গুণটি অর্জন করার চেষ্টা করা মুমিন মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সবাইকে ক্ষমা করার গুণ অর্জন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ