18 C
আবহাওয়া
১:১০ পূর্বাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » দেশ থেকে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশ থেকে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশ থেকে কিশোর গ্যাং নির্মূল করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিএনএ ঢাকা:  ১৮ বছরের নিচে সবাইকে শিশু হিসেবে বিবেচনা করার বিষয়টি নিয়ে এখন চিন্তা-ভাবনার সময় এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আন্তর্জাতিক একটি আইনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণে এটি করা হয়েছে-জানিয়ে তিনি বলেন, এর ফলে কিশোর অপরাধ দমনে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বেগ পেতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মধুবাগে আসাদুজ্জামান কমপ্লেক্সে ‘সবার হোক একটাই পণ, কিশোর অপরাধ করব দমন’ শীর্ষক জনসচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সে সময় তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে। এটি ধরে রাখার প্রথম শর্ত হচ্ছে নিরাপত্তা। কিন্তু দেশের কিশোররা নানা ধরনের অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে। পুলিশ-র‍্যাব, শিক্ষক ও সমাজ তাদের কার্যক্রম চালচ্ছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়, কিশোর অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হলে সবার আগে তাদের বাবা-মাকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তান স্কুলে যাওয়ার নাম করে কোথাও যাচ্ছে কিনা, বাসায় থাকলে সে ইন্টারনেটে কী করছে, এসব দেখতে হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের নেপথ্যদের সুনির্দিষ্টভাবে নাম পাওয়া গেলে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। কোনোভাবেই কিশোর গ্যাং কালচার এ দেশে গড়ে উঠতে দেয়া হবে না। এ ধরনের অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো ধরনের তথ্য পেলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ দেশে একসময় রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় জঙ্গিবাদের উত্থান হয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের র‌্যাবের সাহসী এবং সুদক্ষ কর্মকাণ্ডের কারণে জঙ্গিবাদ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আছে। তাদের আর মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার কোনো সক্ষমতাও নেই। ঠিক তেমনই সম্প্রতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা কিশোর গ্যাংকেও একইভাবেদেশ থেকে নির্মূল করা হবে। এজন্য র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে। কিশোর গ্যাং ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, একসময় আট বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু ধরা হতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিশোর আইন হালনাগাদ করা হয়েছে, এখন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ধরা হয়। আইন পরিবর্তনের ফলে যখন একজন পূর্ণ যুবকের পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাকেও শিশু ধরা হয়। এর ফলে কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেভাবে হচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে বিচার পদ্ধতি, গ্রেফতার পদ্ধতি সবকিছুই আলাদা। তাদেরকে গ্রেফতারের সঙ্গে সঙ্গেই প্রফেশন অফিসারের কাছে হস্তান্তর করতে হয়।

তিনি বলেন, কিশোর অপরাধীদের গ্রেফতারের পর জেলে পাঠানো যাবে না, সংশোধনাগারে পাঠাতে হয়। সেই সংশোধনাগারের সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো পূর্ণ করতে কাজ করতে হবে। নয়তো  কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে বলে জানান আইজিপি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, কারা কিশোরদের অপরাধী বানাচ্ছে, তাদের হাতে কারা মাদক তুলে দিচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধ শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, প্রতিরোধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমাজ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে র‍্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে ছোটদের সঙ্গে বড়রাও থাকে। ছোট-বড় মিলে বিরোধ হলে আলাদা গ্রুপ সৃষ্টি হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিশোর অপরাধ দমনে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে মানে এই নয়, আভিযানিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কেউ সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে সুপথে না আসে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা চলমান থাকবে বলে জানান আবদুল্লাহ আল-মামুন।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

 

 

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ