বিএনএ, ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘টিকার জন্য আমাদের সরকার রাশিয়া কর্তৃপক্ষের সংস্পর্শে রয়েছে। টিকা উৎপাদনের সুযোগ পেলে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্ব সম্প্রদায়কেও সহযোগিতা করার সক্ষমতা আমাদের রয়েছে।বুধবার(২৩ জুন) রাশিয়ার রাজধানী মস্কোতে অনুষ্ঠিত নবম মস্কো কনফারেন্স অন ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিতে পূর্বধারণকৃত ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত ইস্যুগুলোর একটি। এটি শুধুমাত্র অসংখ্য মানুষের প্রাণ নিয়েই থামেনি বরং অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবিকাকেও আঘাত করেছে।
‘আমার সরকার মহামারির সাথে লড়াইয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করেছে এবং বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্রদান করেছে। আমরা আমাদের সব নাগরিককে বিনামূল্যে কোভিড ১৯ এর টিকার আওতায় আনবো। আমরা সম্ভাব্য সব সূত্র থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এ সময় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রাশিয়াসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের সহযোগিতা কামনা করেন সরকার প্রধান। তিনি বলেন, ‘আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে, গত চার বছর ধরে বাংলাদেশ ১১ লাখ জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক-রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে আসছে। তারা বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
‘আমরা মানবিক কারণেই তাদের আশ্রয় দিয়েছিলাম কিন্তু এক বড় একটি জনগোষ্ঠিকে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাখা সম্ভব নয়। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন জানাই রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ এবং শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে আমাদের সহযোগিতা করুন।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতার জন্য তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান সরকার প্রধান। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে রাশিয়ার অবদানের কথাও এ সময় স্মরণ করেন তিনি।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করাসহ ৫টি বিষয় বাস্তবায়নে তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য বিষয়গুলো হলো কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করেন, পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য মানবিক সহায়তা নিশ্চিতকরণ, রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিশ্চিতকরণ এবং বিশ্ব শান্তির জন্য সামরিক সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিকরণ।
বিএনএ/ ওজি