বিএনএ ঢাকা: প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট সব দুর্যোগ মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতই করোনা ভাইরাস মোকাবেলায়ও দেশের মানুষের সহযোগিতা চান তিনি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে রোববার(২৩ মে) ১১০টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র, ৩০টি জেলা ত্রাণ গুদাম-কাম-দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র ও ৫টি মুজিব কিল্লার উদ্বোধন এবং ৫০টি মুজিব কিল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সে সময় সরকার প্রধান আরও বলেন: যেকোন সামরিক সরকারের সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি তারা। ১৯৯১ সালের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার।আওয়ামী লীগ ছাড়া যারাই ক্ষমতায় গেছে তারা উন্নয়নের বদলে ঘুমিয়ে ছিল এবং নিজেদের উন্নয়নে কাজ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ এরপর বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দল সরকার গঠন করেছে। কিন্তু কেউই দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আওয়ামী লীগ মানুষের জন্য কাজ করছে। এই কাজের মধ্য দিয়ে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হয়েছে। খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থান দেয়ারও ব্যবস্থা করেছে সরকার। সেমি পাকাঘর ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম ঘর করে দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগকালীন মানুষের কাছে দ্রুত খাদ্য পৌঁছাতে ত্রাণগুদামের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি বদ্বীপ, প্রতিনিয়ত দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে।মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও আসে। সবই মোকাবিলা করে সরকার দেশের উন্নয়ন করছে।সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়।সারাবিশ্বে কীভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থা করা যায়,এটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।বিশ্ব বাংলাদেশকে একটা দুর্যোগ মোকাবিলায় দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে।দুর্যোগ মোকাবেলায় আজ বাংলাদেশ বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জন করেছে বলেই গ্লোবাল এডাপটেশন সেন্টার এর চেয়ার হয়েছে। এটা দেশের জন্য অত্যন্ত গর্বের বলে জানান শেখ হাসিনা।
করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন,সবাইকে সবসময় মাস্ক পরতে হবে। নিজেদের সতর্কতার জন্য নিজেরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ অন্যকেও উৎসাহিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দেশের তিনটি উপজেলার উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনএনিউজ/আরকেসি