23 C
আবহাওয়া
৯:২৬ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ১৬, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে ইয়াস

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে ইয়াস

ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে ইয়াস

বিএনএ ঢাকা: আন্দামান ও বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। সাইক্লোন তাউকতাই পশ্চিম উপকূলে তাণ্ডব চালানোর ১৫ দিনের মধ্যেই ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস।২৬শে মে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে এটি। ইতোমধ্যেই বঙ্গোপসাগরের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের কাছাকাছি এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে ।

বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়টির বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০থেকে ৩৫ কি.মি. সর্বোচ্চ বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৫০ কি.মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে সাগর এলাকায় ইতোমধ্যেই প্রচুর মেঘ সঞ্চার ঘটেছে। লঘুচাপটি  ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপে এবং ১৬-২০ ঘণ্টার মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উপকূল অতিক্রম করার আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে দেশজুড়ে  বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। বিশেষ করে খুলনা বিভাগে তুমুল বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে,দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে গভীর সাগরে বিচরণ না  করে রোববারের মধ্যে উপকূলে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, এটি এখনও হাজার কিলোমিটার দূরে রয়েছে। তাই সমুদ্রবন্দরে এক নম্বর দূরবর্তী সঙ্কেত দেয়া হয়েছে। নিম্নচাপ হওয়ার পর ধীরে ধীরে উপকূলের দিকে এলে সংকেত বাড়ানো হবে।

এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি একই এলাকায় ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এটি পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যা ২৬ মে নাগাদ উড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে পৌঁছতে পারে।

অন্যদিকে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে । প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরাও সতর্ক অবস্থায় আছেন।

এবারের সম্ভাব্য এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ৩৪৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রশাসনের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্টের সেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।সাতক্ষীরায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি দুর্যোগে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে দেড় হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খুলনায় ৩ শতাধিক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার সঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ।

ভোলায় সতর্কাবস্থায় রয়েছে প্রশাসন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৭০৪টি আশ্রয় কেন্দ্র। এগুলোতে আশ্রয় নিতে পারবে অন্তত ৫ লাখ।লক্ষ্মীপুরে ৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্রের সঙ্গে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে ৬৫টি মেডিকেল টিম। নোয়াখালীতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ বেসরকারি পর্যায়েও  প্রস্তুতি চলছে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি,এসজিএন

Loading


শিরোনাম বিএনএ