24 C
আবহাওয়া
৯:০৫ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » সন্তানের সামনে বাবাকে হত্যা, আরেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

সন্তানের সামনে বাবাকে হত্যা, আরেক আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত

ভোলায় বন্দুকযুদ্ধে ২ জলদস্যু নিহত

বিএনএ ঢাকা:  রাজধানীর পল্লবীতে সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিন (৩৩) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৬ নম্বর আসামি মনির পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। রোববার(২৩ মে) ভোরে পল্লবীর সাগুফতা হাউজিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পল্লবী থানার ডিউটি অফিসার উপ-পরিদর্শক বুলবুল। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) মিরপুর বিভাগের একটি জোনাল টিমের সঙ্গে বন্ধুকযুদ্ধে মনির গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আমাদের একটি টিম এখন অবস্থান করছে। নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করছে।নিহত মনির পল্লবীর চাঞ্চল্যকর সাহিনুদ্দীনকে হত্যা মামলার আসামি। হত্যাকাণ্ডে সে সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানান উপ-পরিদর্শক বুলবুল ।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নম্বর আসামি মো. মানিক র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়।

গত ১৬ মে বিকেলে জমির বিরোধের মীমাংসার কথা বলে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবী থানার ডি-ব্লকের একটি গ্যারেজের ভেতর নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা আকলিমা বেগমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ মে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা হয়।

সাহিন হত্যা মামলার প্রধান আসামি লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল। অন্য আসামিরা হলেন,  মো. আবু তাহের, সুমন, মুরাদ, মানিক, মনির, শফিক, টিটু, কামরুল, কিবরিয়া, দিপু, আবদুর রাজ্জাক, মরন আলী, লিটন, আবুল, বাইট্যা বাবু, বড় শফিক, কালু ওরফে কালা বাবু, নাটা সুমন ও ইয়াবা বাবু। আসামিরা সবাই পল্লবী থানাধীন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক সাহিনুদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন। সাহিন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছুলে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। সে সময় সাহিনের সাত বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে সাহিনকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তারা। এরপর তাকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এতে ঘটনাস্থলেই সাহিনের মৃত্যু হয়।

সাহিনুদ্দিনকে হত্যার নির্মম দৃশ্য ধরা পড়ে পাশের একটি ক্যামেরায়। এতে দেখা যায়- দুই তরুণ দুই পাশ থেকে সাহিনুদ্দিনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। এক পর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারী একজন চলে যান। অপরজন সাহিনুদ্দিনের ঘাড় কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা প্রায় আলাদা করে ফেলে ঘটনাস্থলেই হত্যা নিশ্চিত করে।

বিএনএনিউজ/আরকেসি

Loading


শিরোনাম বিএনএ