বিএনএ স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ওয়ানডে সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। বাংলাদেশের শুরুটাও হয়েছিল দারুণ। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ওয়ানডেতে দাপুটে জয় তুলে নেয় টাইগাররা।
তবে জোহানেসবার্গে হওয়ার দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা। বুধবার আবারো সেঞ্চুরিয়নে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দুই দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায় শুরু হতে যাওয়া ম্যাচটি সিরিজ নির্ধারণী।
প্রথম ওয়ানডে জেতায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতেই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল সিরিজ নিশ্চিত করার। কিন্তু জোহানেসবার্গে রীতিমতো উড়ে যায় সফরকারীরা। তামিম-সাকিবদের মাত্র ১৯৪ রানে থামিয়ে ৩৭.২ ওভারে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় প্রোটিয়ারা।
তবে বাংলাদেশের জন্য প্রেরণা সেঞ্চুরিয়নে হওয়া প্রথম ওয়ানডে। যে ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করেছিল টাইগাররা। জবাব দিতে নেমে স্বাগতিক দল গুটিয়ে যায় ২৭৬ রানে।
প্রাথমিকভাবে তৃতীয় ওয়ানডে খেলা নিয়ে সংশয় ছিল দলের সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। কারণ তার তিন সন্তানের মধ্যে দুই জনসহ পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে দেশে হাসপাতালে রয়েছেন। তাই সাকিবের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু পরে দক্ষিণ আফ্রিকাতেই থেকে যাওয়া ও তৃতীয় ওয়ানডে খেলার সিদ্ধান্ত নেন সাকিব। বাংলাদেশ দলের সদস্যরা সিরিজ জয়ের জন্য কতটা অনুপ্রাণিত এবং মরিয়া, সাকিবের এমন সিদ্ধান্ত তার জ্বলন্ত উদাহরণ। সেঞ্চুরিয়নে প্রথম ম্যাচের ঐতিহাসিক জয়ে বড় ভূমিকা ছিল সাকিবের। ৬৪ বলে ৭৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি। হন ম্যাচসেরা।
মঙ্গলবার ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মেহেদী হাসান মিরাজ বললেন, ‘সাকিব ভাই মানসিকভাবে অনেক শক্ত, আমরা সবাই জানি। পারিবারিক ইস্যু তো অনেক বড় ইস্যু। সবাই সাপোর্ট করছে, সেও অনেক ভালো খেলছে। পরিবার খারাপ থাকলে তো অবশ্যই খারাপ লাগে। সবাই সাপোর্ট করছে ক্রিকেটাররা।’
দল সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বলে জানান মিরাজ। তার কথায়, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী আছি। এখনো আমরা লড়াইয়ের ভেতরেই আছি। আমরা একটা জিতেছি, ওরা একটা। যেহেতু প্রথম ম্যাচ আমরা এখানে (সেঞ্চুরিয়ন) জিতেছি, আত্মবিশ্বাস সবারই ভালো আছে। রানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যদি রান করতে পারি, বোলারদের জন্য সহজ হয়ে যায়। সব সময় খেলায় থাকা যায়।’
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ