28 C
আবহাওয়া
৪:৩৮ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ১৭, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন ১৪৯৪ পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঘর

চট্টগ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন ১৪৯৪ পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঘর

চট্টগ্রামে ভূমিহীন-গৃহহীন ১৪৯৪ পরিবার পাচ্ছে স্বপ্নের ঘর

আমিন মুহাম্মদ : চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ১ হাজার ৪শ’ ৯৪টি পরিবারকে দেয়া হচ্ছে স্বপ্নের ঘর।  ইতোমধ্যে ৪৬৮টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে।  আরও ৮২৬টি ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে।  চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

দুই কক্ষ বিশিষ্ট আধা পাকা ঘরের সামনে রয়েছে বারান্দা, পেছনে রান্নাঘর, টয়লেট, ছোট আরেকটি জায়গা। ঘরের ২ শতাংশ জমিও তাদের নামে লিখে দেয়া হচ্ছে (বন্দোবস্ত)। প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় হচ্ছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, দুটি প্রকল্পে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ১১৫টি ঘর দেয়া হবে। এর মধ্যে ওই উপজেলায় ৬৫টি ঘর দেয়া হয়েছে।  প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ৫০টি ঘর।

একইভাবে পটিয়া উপজেলায় ২শ’ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হবে। যার মধ্যে দেয়া হয়েছে ১১৫টি ঘর।  আরও ৮৫টি ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্বপ্নের ঘর

চন্দনাইশ উপজেলায় দেয়া হবে ২৯টি ঘর। ইতোমধ্যে ঘর দেয়া হয়েছে ৫টি, আরও ২৪টি ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সাতকানিয়া উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩০টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। লোহাগাড়া উপজেলায় দেয়া হবে ৩৮টি পরিবারকে। যার মধ্যে ১৮টি পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে আর ২০টি ঘর।

বাঁশখালী উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪৭ পরিবারকে ঘর দেয়া হবে।  সেখানে ২৫টি ঘর দেয়া হয়েছে। দেয়া হবে আরও ২২টি ঘর। যা বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

ফটিকছড়ি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন ৬শ’ পরিবারকে ঘর দেয়া হবে।  ওই উপজেলায় এ পর্যন্ত ১৮৫ পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। প্রস্তুত করা হচ্ছে আরও ৪১৫টি ঘর।

কর্ণফুলী উপজেলার ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। এছাড়া বোয়ালখালী উপজেলার  ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ২০টি, রাউজানে ২৪০টি, হাটহাজারীতে ও আনোয়ারায় ১৫টি করে ও সন্দ্বীপ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ৫০টি ঘর দেয়া হবে। এখন এসব ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তাছাড়া সন্দ্বীপ উপজেলায় ৪টি আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ১টি গুচ্ছগ্রাম দ্বিতীয় পর্যায়ে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে সাড়ে ৯শ’ পরিবারকে পুনর্বাসন করা যাবে। এতে সেখানে আর কোনো ভূমিহীন অবশিষ্ট থাকবে না।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা সুলতানা জানান, ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে জুলধা ইউনিয়নে ১৭টি, চরলক্ষ্যায় ৬টি ও শিকলবাহায় ২টি ঘর দেয়া হয়। দ্বিতীয় প্রকল্পে আরও ৫টি ঘর দেয়া হবে।  বরাদ্ধ পেলে কাজ শুরু করা হবে।
কর্ণফুলী উপজেলার ২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘর দেয়া হয়েছে

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দেশের সকল ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে গৃহ প্রদান নীতিমালা ২০২০ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প হতে প্রদত্ত নমুনা মোতাবেক কবুলিয়ত দলিল, নামজারী, গৃহ প্রদানের সনদ ও প্রতিটি উপকারভোগীর পৃথক ফোল্ডার করে উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। একটি ঘর নির্মাণে সরকার থেকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। বিভিন্ন উপজেলা এ একটি ঘর নির্মাণের অনেক সময় দুই লাখ টাকার বেশি খরচ করা হয়েছে। তারপরও গুণগত মান ঠিক রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।

উল্লেখ্য, দেশে ১৯৯৭ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্প হাতে নেয়। শুরু থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যারাকে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৬৮টি ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। যার জমি আছে ঘর নেই, এমন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৪টি পরিবারকে ঘর করে দেয়া হয়েছে।

বিএনএনিউজ

 

Loading


শিরোনাম বিএনএ