বিশ্ব ডেস্ক, ঢাকা: দ্রুত বাড়ছে করোনায় মৃত্যু। থেমে নেই আক্রান্ত। বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর মাথা নুয়ে পড়ছে করোনা মোকাবিলায়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতিতে আশা জাগাচ্ছে করোনার টিকা। একেক পক্ষ থেকে একেক মত দেয়া হচ্ছে। কিন্তু নিশ্চিত করে কেউই বলতে পারছে না- কিভাবে কিংবা কোন প্রতিষেধকে নির্মূল হবে করোনা । করোনা থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত লকডাউনের পথে হাঁটল হংকংও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিল দেশটি।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম জানায়, করোনা সংক্রমণ রোধে গত এক বছর অধিকাংশ দেশে দফায় দফায় লকডাউন আরোপ হলেও এর থেকে মুক্ত ছিল হংকং। কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে মহামারি মোকাবিলা করে প্রশংসিত হয় চীনা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটি।
কিন্তু করোনার হটস্পট হয়ে ওঠায় কিছু এলাকায় সাময়িকভাবে লকডাউন আরোপ করে হংকং। সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়, টেস্টের জন্য এমন কড়াকড়ির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি জানায়, শুক্রবার নতুন করে ৬১ জন ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অঞ্চলটিতে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে শনাক্ত হয়েছেন ৫৫ জন।
লকডাউন আরোপ হওয়া কুউলুন পেনিসুলা অংশের জর্দান এলাকা হচ্ছে বহুতল ভবন, ব্যবসা ও রেস্টুরেন্টের জন্য সুপরিচিত। টেম্পল স্ট্রিটও এ কড়াকড়ির আওতায় পড়েছে, রাতের মার্কেট হিসেবে পর্যটকদের কাছে বিখ্যাত এ এলাকা।
করোনা টেস্ট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এসব এলাকার বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাধ্যতামূলক এ টেস্ট অন্তত ৪৮ ঘণ্টা ধরে চলমান থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অঞ্চলটির পরিবেশমন্ত্রী উং কাম-সিন শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান যে, পানির লাইন দিয়ে ভবনগুলোতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে কি না পরীক্ষা দেখা হচ্ছে।
বিএনএ/ এমএইচ