20 C
আবহাওয়া
৯:৩৬ অপরাহ্ণ - ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ

ধামরাইয়ের চৌটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

সাভার প্রতিনিধি: ঢাকার ধামরাইয়ের চৌটাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নিয়মবহির্ভূত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের করা লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৪ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে উপজেলা শিক্ষা অফিস।

বিষিয়টি নিশ্চিত করে ধামরাই উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তাজমুন্নাহার বলেন, ”অভিযোগ তদন্তে উপজেলা সহঃ শিক্ষা অফিসার ফাতেমা বেগমকে প্রধান করে ৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, এবং তদন্ত শেষে পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে”। তদন্তে অনিয়ম-দুর্নীতির প্রমান পাওয়া গেলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বাবু যুধিষ্টির বিশ্বাস নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ফান্ডের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানা দীর্ঘদিন যাবত শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে নিয়মবহির্ভুতভাবে বিভিন্ন অংকের টাকা আদায় করে আসছে।

এছাড়াও শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা তুলতেও প্রধান শিক্ষিকাকে কমিশন দিতে হয়। এদিকে মঙ্গলবার সরেজমিনে বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় তদন্ত কমিটির বিদ্যালয় পরিদর্শনের খবর পেয়ে সকাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবকরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ভীড় করেছে। অভিভাবকদের একত্রিত হয়ে প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানার অপসারন চেয়ে ¯স্লোগান দিতে দেখা যায়।

সাদিয়া রহমান নামে এক অভিভাবক বলেন, “একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়া সত্বেও প্রধান শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে প্রশ্নপ্রত্র ছাপানো, পরিক্ষার খাতা খরচ, বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন বাহানায় বিভিন্ন অংকে অর্থ আদায় করে আসছে। এছাড়াও উপ-বৃত্তির টাকা তুলতে গেলেও শিক্ষার্থী প্রতি ১ থেকে ২’শ টাকা হারে তাকে কমিশন দিতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, এভাবে একটা প্রাথমিক বিদ্যালয় চলতে পারে নাকি ? আমাদের স্বচ্ছলতা থাকলে বা খরচ দিয়ে পড়াতে হলেতো বাচ্চাদের বেসরকারী স্কুলেই ভর্তি করতাম। তাহলে সরকারি স্কুলে বাচ্চাকে কেন পড়াবো?

অন্যদিকে বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি শীতল সরকার বলেন, প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানা বরাবরই নিজের খেয়াল খুশি মত বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। আমি ২ বছর কমিটিতে থাকাকালীনও একাধিকবার তাকে সতর্ক করা হয়, তবে তিনি কর্ণপাত করেননি। তিনি আরও জানান, এর আগেও শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছিলো। সেসময় শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে সেবারের মত পার পেয়েছিলেন তিনি।”

যদিও সকল অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষিকা নিগার সুলতানা দাবি করেন, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টি নিয়ে আর কোন মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

বিদ্যালয়ে পরিদর্শনকালে ক্ষোভ প্রকাশ করে তদন্ত কমিটির সদস্য ও উপজেলা সহঃ শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, নিয়মানুয়ায়ী তদন্ত কমিটিকে তদন্তে সহযোগিতা করতে বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা এদিন কেউ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। বারবার তাদের উপস্থিত থাকার কথা বলা হলেও তারা কমিটির কথায় কোন কর্ণপাত করেননি।

মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সরলা সরকার জানান, ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারনে তিনি এদিন বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিষয়টি নিয়ে তিনি দূঃখ প্রকাশ করেন। তবে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে মুঠোফোনে তিনি বলেন, “এখানে লুকোচুরির কিছু নেই। তার বিরুদ্ধে যেসকল অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সবই সত্য। আমরা বারবার তাকে সতর্ক করলেও তিনি আমাদের কথা শোনেননি। এমনকি কয়েক দফায় তিনি আমাকে বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা উত্তোলনে ফাকা চেকে সাক্ষর করতে বাধ্য করেছেন। কিন্তু পরবর্তীতে সেই টাকা তিনি কিভাবে, কোন খাতে ব্যায় করেছেন, তা জানানোর প্রয়োজন মনে করেননি।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, “অভিযোগটি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। ইমরান খান,

Loading


শিরোনাম বিএনএ