বিএনএ দিনাজপুর: দেশের কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) পেঁয়াজের আইপি দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) থেকে আইপি দেয়নি হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকদের আগের করা ৫০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের আইপি রয়েছে; যার মাধ্যমে বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন বলেন, দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ দিয়ে দেশের মোট পেঁয়াজের চাহিদা মেটানো সম্ভব নয়। তাই চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। হিলিসহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হয়। শুধু যে ভারত থেকে আমদানি হয় তা নয়, মিয়ানমারসহ অন্যান্য দেশ থেকেও আমদানি হয়। ফলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।
তবে দেশের কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে ২০ ডিসেম্বর থেকে আইপি বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার আইপি করতে গিয়ে বিষয়টি জানতে পারলাম। গত বছরও এই সময়ে আইপি দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল সরকার।
তিনি বলেন, আইপি দেওয়া বন্ধ করে দিলেও বন্দরের আমদানিকারকদের ৫০ হাজার টনের মতো পেঁয়াজের আইপি রয়েছে। ফলে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে। যা আগামী দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। তবে এখন বাজারে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো থাকায় ও দাম কম হওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। যদি দেশের বাজারে চাহিদা থাকে তাহলে আমদানি করা হবে। তবে আইপি বন্ধের কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনও আশঙ্কা নেই।
হিলি স্থলবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-সহকারী সংগনিরোধ কর্মকর্তা ইউসুফ আলী বলেন, অফিসিয়ালি পেঁয়াজের আইপি বন্ধের এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা আমরা পাইনি। তবে যতটুকু জানতে পেরেছি ২০ ডিসেম্বর থেকে পেঁয়াজের আইপি দেওয়া বন্ধ করেছে মন্ত্রণালয়। ফলে মঙ্গলবার সকাল থেকে আইপি করতে গেলে সার্ভার বন্ধ দেখাচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। সামনে আরও উঠবে।
তিনি বলেন, কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত ও চাষে উদ্বুদ্ধ করতে আমদানি বন্ধ রাখার উদ্যোগ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এখন থেকে শুরু করে আগামী মার্চ পর্যন্ত আইপি দেওয়া বন্ধ থাকবে। এপ্রিল মাস থেকে আবারও আইপি দেওয়া শুরু হবে। তবে আগের করা আইপির মাধ্যমে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।
বিএনএনিউজ২৪/এমএইচ