বিএনএ ডেস্ক: রাজশাহী, রংপুর দিনজুপ, পঞ্চগড়, যশোরসহ কয়েক ১০ জেলার ওপর দিয়ে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তীব্র ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। দিন শুরুর পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও শীত না কমায় কনকনে বাতাসে নাকাল জনজীবন।
কনকনে ঠান্ডা বাতাসে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে আছেন চরাঞ্চলের মানুষ। একটু উষ্ণতার জন্য অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন তারা। হতদরিদ্র এসব মানুষের পাশে এখনও দাঁড়ায়নি বিত্তবানরা।
উত্তরের জেলা দিনাজপুরের হিলিতে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে শীতের মাত্রা বাড়ায় বিপাকে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। সকালে কুয়াশা থাকায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। হঠাৎ জেঁকে বসা শীতে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
পটুয়াখালীতে ঘন কুয়াকাশায় ঢাকা পড়ছে গ্রামীণ জনপদ। হিমেল হাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকা মানুষ শীতের কারণে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না। যারা জীবিকার তাগিদে কনকনে শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন তারা পড়েছেন চরম বেকায়দায়।
সীমান্ত জেলা নওগাঁয় হাড় কাঁপানো শীতের সঙ্গে ঘন কুয়াশাও রয়েছে। জেলার সড়ক ও মহাসড়কগুলোতে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সংজ্ঞা অনুযায়ী, তাপমাত্রার হিসেব অনুযায়ী বড় কোন এলাকা জুড়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আট থেকে ১০ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তাপমাত্রা ছয় থেকে আট ডিগ্রির মধ্যে থাকলে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।
সে হিসাবে দেশের দশ জেলায় এই মুহূর্তে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ চলছে। জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, রাজশাহী, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, পাবনা, বরিশাল, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গা।
তবে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চলমান মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ সহসাই বিদায় নিচ্ছে। জানুয়ারির আগে আর কোনো শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস নেই বলে জানানো হয়।
বিএনএনিউজ/আরকেসি