মিরসরাই(চট্টগ্রাম): মিরসরাই উপজেলায় সম্প্রতি বৃদ্ধি পেয়েছে চুরির ঘটনা। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সাধারণ জনমনে। মিরসরাই গোভনীয়া এলাকার ৫ শ গজের মধ্যে গত এক মাসে ঘটেছে ৪টি চুরির ঘটনা। ৪ ঘটনায় ৪ টি মোটরসাইকেল ও দুটি লোহার গ্যারেজের বিপুল পরিমাণ মালামাল চুরি হয়েছে। এসব ঘটনায় চোরাইকৃত মালামালের মূল্য প্রায় ৮ লাখ টাকা। চুরির ঘটনাগুলির মধ্যে মাত্র ১ টি ঘটনা থানায় জিডি আকারে নিয়া হলেও বাকি ৩টির কোন অভিযোগ থানায় আসেনি।
সোমবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নের বাদামতলী বাজারে পারভেজের গ্রীলের দোকান থেকে দেড় লক্ষ টাকার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এর আগে গত ২৭ অক্টোবর একই কায়দায় একি বাজারের তসলিমের লোহার গ্যারেজে থেকে প্রায় ১ লক্ষ ষাট হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়।
এছাড়া গত ১৭ নভেম্বর মিরসরাই ডাকবাংলো এলাকার মোস্তফা ম্যানসনের গেইটের তালা, সিসি ক্যামেরা ও মোটরসাইকেলের লক ভেঙ্গে দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় । একই সময় সওজ ডাক বাংলো থেকে মিরসরাই প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিনের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যায়। এক রাতে ৩ টি মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় থানায় সন্দেহ জনক পেশাদার ৬ মোটরসাইকেল চোরের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ তা পরিবর্তন করে জিডি আকারে গ্রহণ করে।
এর কিছুদিন পূর্বে পশ্চিম গোভনীয়া থেকে একটি পালসার মোটর সাইকেল চুরি হয়। চুরি হওয়া এসব মোটরসাইকেলের মূল্য প্রায় ৬ লক্ষ টাকা। একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গোভনীয়া এলাকায়। রাত নামতেই গৃহকর্তারা চোরের ভয়ে বাড়িঘর পাহারা দিয়ে শেষ রাতে ঘুমাতে গেলেই চুরি হয়ে যাচ্ছে দোকান ঘর ও বাসাবাড়ির মূল্যবান মালামাল।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত বছর শীতের শুরুতেই চুরির ঘটনা মারাত্মক আকার ধারন করে। চুরির ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে চোরদের চিহ্নিত করে থানা পুলিশকে তাদের নাম ঠিকানা দেয়া হলেও রহস্যজনক কারনে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়নি।
এরআগে চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা, আকবর শাহ থানা সহ একাধিক থানার বিভিন্ন মামলায় শহরের চিহ্নিত চোর সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্যকে মিরসরাই থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তারা জেলে থাকার কারনে গত ৭ থেকে ৮ মাস মিরসরাইয়ে চুরি ছিনতাই প্রায় বন্ধ ছিল। কিন্ত সম্প্রতি চিহ্নিত ওইসব চোর সিন্ডিকেটের সদস্যরা জামিনে ফিরে গত ১ মাসে ব্যাপক হারে আবারো চুরি ছিনতাই শুরু করেছে। এসব চোরদের ব্যাপারে মিরসরাই থানা সহ ফেনী ও চট্রগ্রামের বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।
মিরসরাই থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কবির হোসেন জানান, সিসিটিভির ফুটেজ দেখে বেশ কয়েকজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজনকে ইতিমধ্যে জেলে পাঠানো হয়েছে। চোরদের আটক করে জেলে পাঠালে তাদের জামিন হয়ে যায়। জামিনে এসে তারা চুরির কৌশল পরিবর্তন করে আবারো চুরিতে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া শনাক্তকৃত ও সন্দেহজনকদের দিকে নজর রাখা হচ্ছে। আশরাফ উদ্দিন,জিএন