ঢাকা: বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রুনাই দারুস সালামের হাই কমিশনার হাজী হারিস বিন ওসমান বলেছেন, বিশ্বে বিরাজমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পেতে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের মধ্যে ইউনিটি( একতাবদ্ধতা) খুব গুরুত্বপূর্ণ। এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে সাহায্য করবে এটা ইসলামের নীতি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান।
শনিবার(২২ জুলাই২০২৩) মধ্যাহ্নে জিলানী কমপ্লেক্স বাংলাদেশ এর ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ঈদে-মিলাদুন্নবী(দ.) কমিটির উদ্যেগে রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশন মিলনায়তনে ‘ইউনিটি অব মুসলিম ওর্য়াল্ড’ শীর্ষক ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে তিনি এ সব কথা বলেন।
ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের উদ্বোধনী বক্তৃতায় ব্রুনাই দারুস সালাম এর হাই কমিশনার আরও বলেন, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, এক আল্লাহর আমরা যারা ইবাদত করি তারা সকলে এক হওয়া কোন ব্যাপার না। তবে সে জন্য মুসলমানদের বৃহত্তর স্বার্থে মত পার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত তুলে ধরে হাজী হারিস বিন ওসমান বলেন, প্রত্যেক ভাল কাজে আল্লাহর সাহায্য চাইতে হবে।
এতে সভাপতিত্ব করবেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লি. এর রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মেজর(অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন। জিলানী কমপ্লেক্স বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আ.ন.ম. দেলাওয়ার হোসাইন আল্ কাদেরী স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
‘ইউনিটি অব মুসলিম ওর্য়াল্ড’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর আবদুল মান্নান।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আবুল ও জিলানি ইসলামিক উইমেন সোসাইটি বাংলাদেশের চেয়ারপারসন শাহজাদি সৈয়দা সায়েমা আহমেদ আল হাসানি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান আমরা সর্বত্র ইসলাম বাস্তবায়নের কথা বলি উল্লেখ করে বলেন, কিন্ত কখনো ইসলামের মধ্যে ইউনিটি খুঁজি না। ইসলামের সহনশীলতা আজ নেই। ধর্মের নামে মানুষে মানুষে হানাহানি। আমরা দিন দিন চিন্তাধারায় সংকোচিত হচ্ছি।
অথচ দেখুন ভারতবর্ষের পূর্বাঞ্চলে এই বাংলায় তরবারি দিয়ে মুসলমানরা ইসলাম প্রতিষ্ঠা করেন নি। সুফিসাধকরা শান্তির ধর্ম ইসলাম এখানে কায়েম করেছিলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আবুল বলেন, পবিত্র আল কোরআন এবং নবীজী(সা.)কে অবমাননা করার জন্য চীন ও ইটালি করোনাভাইরাসে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেন, পবিত্র কোরআন ও নামাজকে যারা বাদদেয়, তাদের মুসলমান বলা যায় না। নতুন প্রজজ্মকে শুদ্ধভাবে নামাজ আদায় ও পবিত্র কোরআন শরীফ পাঠ করার জন্য শিক্ষা দিতে হবে। এটা প্রত্যেক অভিবাবকের দায়িত্ব। তিনি বিশ্বে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে ঐক্য না থাকার জন্য অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের নেতাদের দায়ি করেন। তিনি বলেন, দরিদ্র রাষ্ট্রসমূহে ধনী রাষ্ট্রগুলো সহায়তা করলে মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রসমূহ পিছিয়ে থাকবে না। তাদের মধ্যে একতা গড়ে ওঠবে।
শাহজাদি সৈয়দা সায়েমা আহমেদ আল হাসানি তার বক্তব্যে নিজ ঘর থেকে ইসলামের সঠিক চর্চা, মনে প্রাণে আল্লাহর নির্দেশ ও রসূল(সা.) প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করার আহবান জানিয়ে বলেন, এইভাবে আমরা চলতে পারলে মানবজীবনে শান্তি আসবেই। ধীরে ধীরৈ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে ইনশআল্লাহ।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন