বিএনএ ডেস্ক: কক্সবাজারের এক সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালি দেয়ার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন টেকনাফের নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু। হ্নীলা ইউনিয়নে নিচু জমিতে প্রধানমন্ত্রী উপহারের ঘর নির্মাণ সংক্রান্ত সংবাদ করায় গালিগালাজ করেন তিনি।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে শহরের হিলডাউন সার্কিট হাউসের সম্মেলনকক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কায়সার দুঃখ প্রকাশ করেন।বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আমিন আল পারভেজ, আবু সুফিয়ান, জাহিদ ইকবাল, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেলসহ গণমাধ্যমকর্মীরা।
ঘটনার মীমাংসা হলেও ইউএনওর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক, একজন প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তার মুখ থেকে এ ধরনের বাক্য আশা করা যায় না।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক সাইদুল ফরহাদ অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘ঢাকা পোস্ট’ এর কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি। ফরহাদ জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ইউএনও কায়সার তাঁর অফিশিয়াল মুঠোফোন নম্বর থেকে কল করেন। এ ধরণের সংবাদ কেন প্রকাশ করা হয়েছে তার কারণ জানতে চেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন। রেকর্ড করা ওই অডিও কলটি সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
সেই অডিও কলে ইউএনওকে বলতে শোনা যায়, ‘তুই কত বড় সাংবাদিক হইছছ? তুই তো টেকনাফের প্রতিনিধি না।’ এ সময় সাইদুল ফরহাদ নিজেকে জেলা প্রতিনিধি পরিচয় দিলে ইউএনও তাঁকে বলেন, ‘কিসের জেলা প্রতিনিধি। সেদিন তোর বাবা যিনি আসছিল, যে তোর পরিচয় দিছিল সেইজন্য তোর ফোন আমি ধরেছিলাম। তুই যা লিখছছ পুরোটাই মিথ্যা।’
ইউএনওর গালাগালের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সার্কিট হাউসের বৈঠকে উপস্থিত কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম বলেন, ‘একজন সাংবাদিকের সঙ্গে দায়িত্বশীল সরকারি একজন কর্মকর্তা এভাবে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে কথা বলতে পারেন না। এই ইউএনও টেকনাফে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। তাঁকে দ্রুত অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সাংবাদিকরা।
বিএনএ/ এ আর