বিএনএ, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : জৈষ্ঠ্য মাস মধু মাস ফলের মাস। গ্রীষ্মের ভরপুর ফলের মৌসুমে তীব্র তাপদাহে আনোয়ারার বিভিন্ন স্থানে পিপসাকাতর মানুষদের ব্যাপক চাহিদা হয়ে ওঠছে মৌসুমি ফল তালের শাঁসের।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চট্টগ্রামসহ সারা দেশে পড়ছে প্রচন্ড তাপদাহ। আর এই প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন হয়ে ওঠেছে বিপর্যস্থ ও দুর্বিসহ।তাপদাহের প্রচন্ড এই গরমে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে জমে উঠেছে মৌসুমি ফল হিসেবে পরিচিত তালের শাঁসের বেচা-কেনা। করোনায় অনেক বেকার যুবকের এই তালের ব্যবসা করে বাড়তি আয়েরও পথ খুজছেন অনেকে। চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি বলে জানিয়েছে ক্রেতা-বিক্রিতারা।
ফলের জন্য বিখ্যাত মধুমাস জৈষ্ঠ্যতে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি তালের কদর বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। বাঙ্গি তরমুজের মৌসুমের পর ছোট-বড় সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় ফল এখন তাল। প্রচন্ড গরমে পিপাসাকাতর পথিকের তৃষ্ণা মেটায় এই তালশাঁস। তাছাড়া গরমের দিনে এই ফলটির শাঁস বেশ সুস্বাদু হওয়ায় একটু তৃষ্ণা মেটাতে বিভিন্ন পেশার মানুষ ভিড় করে এই ফলটি কিনতে। অনেকেই রাস্তার পাশে বসে ও দাঁড়িয়ে এ ফল খাচ্ছেন। কেউ খুচরো কিনছেন, কেউবা কাঁধি কিনে নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।
উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার প্রতিটি হাট-বাজার, রাস্তার মোড়, এলাকার বিভিন্ন দোকানের সামনে তালের ফসরা বসিয়েছে বিক্রেতারা। তাতে ভিড় জমিয়েছে ছোট-বড় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। পানি-তাল হিসেবে প্রতিটি তাল ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা এবং ধারালো দা দিয়ে তা কেটে তালের শাঁস বের করে দিচ্ছেন তৃষ্ণার্ত ক্রেতাদের।
উপজেলার তৈলারদ্বীপ নোয়াপাড়া এলাকার রাস্তার পাশে বসে তালের শাঁস বিক্রি করছেন স্থানীয় তাল বিক্রেতা মোহাম্মদ জসিম। তিনি জানারন, প্রতিটি তালে থেকে তিন থেকে চারটি শাঁস বা বিচি হয়। প্রতি পিস এখন ৭ টাকায় বিক্রি হয়। তলের শাঁস বা বিচি অত্যন্ত সুস্বাদু ও পানি জাতীয় তুলতুলে নরম ফল হওয়ায় ছোট-বড় সকলে এই ফল পছন্দ করে।
মোহাম্মদ আকতার হোসেন নামে এক তালের শাঁস ক্রেতা বলেন, প্রতি বছর জৈষ্ঠ্যমাসে অন্যান্য ফলের পাশাপাশি কচি তালের জনপ্রিয়তা ও অনেকটা বেড়ে যায়, বিশেষ করে প্রচন্ড গরম পড়লে এই ফলের কদরও বাড়ে। কচি তালের প্রকৃতি অনেকটা নরম ও পানি জাতীয় হওয়ায় এই ফল বেশ সুস্বাদু হয়।
তালের আরেক শাঁস ক্রেতা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রামঞ্চলে মৌসুমি ফল হিসেবে তালের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। মৌসুমি ফলগুলোতে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ ও ফরমালিন ব্যবহার করায় ফলগুলো মানবদেহে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।কিন্তু তালে কোনো ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়না। তাই এই ফলটি যেমন স্বাস্থ্যকর তেমনি মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী।
বিএনএ/ এনামুল হক নাবিদ,ওজি