বিএনএ, জাবি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতি বাতিল এবং গত বছরের ন্যায় ছুটিকালীন সময়ে চৌর্যবৃত্তি করে ভর্তি ফর্মের মূল্য বৃদ্ধি না করার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিশ্বিদ্যালয় শাখা। বুধবার (২২ মার্চ) সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সভাপতি আবু সাঈদ ও সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানোনো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, গতবছর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নানাবিধ সংস্কার করা হয়। তাতে পরীক্ষার ইউনিট সংখ্যা কমানো হয়, পক্ষান্তরে অন্যায্য বাণিজ্যনীতির কবলে ভর্তি ফর্মের মূল্য বহুগুণ বেড়ে যায়। এছাড়াও ঘটে যাওয়া ভর্তি পরীক্ষায় শিফট পদ্ধতির নানান ত্রুটির তথ্য নানান সংবাদপত্র মারফত প্রচারিত হয়।
তথ্যসূত্র অনুযায়ী, শিফট পদ্ধতিতে নেয়া ভর্তি পরীক্ষার বৈষম্যমূলক অবস্থাটি সুস্পষ্ট। শিফট পদ্ধতিতে ভর্তি সঠিক মেধার মূল্যায়নে চরম নৈরাজ্যমূলক অব্যবস্থাপনার পরিচায়ক। এই প্রক্রিয়ায় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সাথে চরম অসাধুতা করা হয়। অনেকাংশেই প্রকৃত মেধাবীদের করা হয় বঞ্চনা। যা তাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও লজ্জার।
নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের ফি বৃদ্ধির অপকৌশল নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এই প্রশাসন গত বছর ক্যাম্পাস বন্ধকালীন সময়ে অযাচিতভাবে ভর্তি ফর্মের মূল্যবৃদ্ধি করেছে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যাতে অযৌক্তিক এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলার সুযোগ না পায়। এহেন মুনাফালিপ্সা ও চৌর্যবৃত্তি, শিক্ষকসমাজের জন্য অপমানজনক।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট এর নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি দিয়ে বলেন,যদি আবারও বন্ধকালীন ক্যাম্পাসে চুপিসারে ফর্মের মূল্যবৃদ্ধি করার পায়তারা করা হয় তবে তা শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই মেনে নিবেনা এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিবে। তারা প্রশাসন আহ্বান করে বলেন, প্রশাসনের উচিত হবে দেশের সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের সন্তানদের কথা চিন্তা করে ন্যায্যভাবে ফর্মের মূল্য নির্ধারণ করা।
উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ ও ৩টি ইনস্টিটিউটের অধীনে ৫টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয়। বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী এ, বি, সি এবং ই ইউনিটের ভর্তি ফরমের মূল্য ৯শ টাকা। এছাড়া ডি ইউনিটের ফরমের মূল্য ৬শ টাকা। ছাত্র ফ্রন্ট নেতাদের দাবি এই মূল্য আবারো বাড়ানোর চেষ্টা করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিএনএ/ সানভীর, এমএফ