বিএনএ: রোহিঙ্গা পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সকল অংশীদারদের সাথে তার সম্পৃক্ততা আরো বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। রোহিঙ্গা সঙ্কটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন তিনি।
বুধবার (২২ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মঙ্গলবার নিউইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারের সঙ্গে সাক্ষাতে এ আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ পররাষ্ট্র মন্ত্রী বিশেষ দূতকে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে হবে। এ জন্য বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি আসিয়ান নেতৃত্বসহ সকল বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সাথে আরো সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, সুযোগ দেয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে। এসময় কক্সবাজার ও ভাসানচরের অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রম ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন ড. মোমেন।
রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরী চাহিদা যেমন, খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে জাতিসংঘকে কাজ করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ২২ থেকে ২৪ মার্চ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠেয় আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিএনএনিউজ/এ আর