বিএনএ, বিশ্বডেস্ক : সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাম্প্রতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতের সফরের ভূয়সী প্রশংসা করে দেশটির মন্ত্রিপরিষদের অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা আব্দুল কাদির আযুজ বলেছেন, আরব বিশ্ব এবং মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিনষ্টের জন্য যখন নানামূখী ষড়যন্ত্র এবং অপতৎপরতা চলছে তখন তার এ সফর গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক মাইলফলক।
তিনি বলেন, আরব বিশ্বের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার পাশাপাশি এ অঞ্চলের ভ্রাতৃকামী জনগণের মধ্যে বিভেদ ও অনৈক্যের বীজ বপন করার কাজে লিপ্ত শত্রুদের নানা ষড়যন্ত্রের মুখে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর একটি গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক প্রভাব।
আব্দুল কাদির আযুজ বলেন, ভ্রাতৃপ্রতিম প্রতিবেশী সিরিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক পুনরায় সচল অংশ হিসেবেই প্রেসিডেন্ট আসাদ আমিরাত সফর করেছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এবং সমৃদ্ধি এই দুই দেশ এর আগেও প্রত্যক্ষ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আযুজ বলেন, সিরিয়ার পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি কিংবা বাণিজ্যিক লেনদেন বাড়ানোর দিকেই দুই দেশের নেতৃত্ব মনোযোগ দিচ্ছে।সিরিয়ার সরকারের এ উপদেষ্টা আরো বলেন, আরব বিশ্বের নিরাপত্তা স্বার্থে এ অঞ্চলের আরো কিছু দেশের কাছ থেকে এই ধরনের সফরের জন্য অনেক বার্তা বিনিময় চলছে।
শুক্রবারের একদিনের সফরে প্রেসিডেন্ট আসাদ আবু ধাবির যুবরাজ শেখ মোহাম্মাদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ও দুবাই’র শাসক শেখ মোহাম্মাদ বিন রাশিদ আল-মাকতুমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সিরিয়ায় বিদেশি মদদে সহিংসতা চাপিয়ে দেয়ার এক বছর পর ২০১২ সালে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে সিরিয়া সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফল হলে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে দামেস্কে নিজের দূতাবাস পুনরায় চালু করে আবু ধাবি। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সে প্রক্রিয়ায় প্রেসিডেন্ট আসাদের সাম্প্রতিক সফর দুবাই সফর ছিল সর্বশেষ সংযোজন।
বিএনএনিউজ/ এইচ.এম।