20.7 C
আবহাওয়া
৬:১৭ পূর্বাহ্ণ - নভেম্বর ২২, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » চট্টগ্রামে প্রবেশপথে বসবে ৩ চেকপোস্ট

চট্টগ্রামে প্রবেশপথে বসবে ৩ চেকপোস্ট

চট্টগ্রামে প্রবেশপথে বসবে ৩ চেকপোস্ট

বিএনএ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানিয়েছেন, গণপরিবহনে যাত্রীদের মাস্ক পরিধান ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম নগরীর তিনটি প্রবেশপথে চেকপোস্ট বসানো হবে। একইসঙ্গে যাদের মাস্ক থাকবে না তাদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হবে।

সোমবার (২২ মার্চ) বিকেলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত করোনা ভাইরাস সংক্রমণজনিত উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় ও করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক জরুরি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

চট্টগ্রামে  প্রবেশপথে বসবে ৩ চেকপোস্ট

মমিনুর রহমান বলেন, করোনা ভ্যাকসিন কার্যক্রম সাফল্যের সাথে শুরু হলেও অনেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। ভ্যাকসিন নেয়ার পরে মানুষ অসচেতন হয়ে পড়েছে।

‘সরকারের নির্দেশনা মতে করোনার ঝুঁকি মোকাবিলায় মাস্ক পরিধানসহ শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র ও অন্যান্য দর্শনীয় স্থানে জেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্ট অভিযানের পাশাপাশি মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।’

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে এ সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। যতদিন করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকবে ততোদিন জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং অব্যাহত থাকবে।

‘পাশাপাশি নগরীর স্টেডিয়াম, সিআরবি, বাদামতলী মোড়, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক ও সি বিচসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিএনসিসি, স্কাউট, রোভার স্কাউটস, গার্লস গাইড, রেড ক্রিসেন্ট ও এনজিও প্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সকলের মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।’

জেলা প্রশাসক বলেন, এখন থেকে জেলা ও নগরীর সকল কমিউনিটি সেন্টার, হোটেল-রেস্টুরেন্টগুলোতে সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠানসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানে ১০০ জনের মধ্যে অধিক অতিথির সমাগম নিষিদ্ধ করে মালিকদের কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে।

‘স্বাস্থ্যবিধি ও ৩ ফুট শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠান পরিচালনা না করলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। সকল মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দুরত্ব মেনে নামাজ আদায়ের বিষয়টি আগামী শুক্রবার জুমার খুতবার আগে প্রচার করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রমে এগিয়ে আসলে করোনা পরিস্থিতি পূর্বের ন্যায় নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, অসচেতনতার কারণে কোভিড পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হয়েছে। করোনা রোগীদের সুচিকিৎসায় আন্দরকিল্লা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল-২ হলি ক্রিসেন্ট হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের ২৫০টি শয্যা প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে ৬০/৭০টি আইসিইউ বেড রাখা হয়েছে। মুমূর্ষ রোগীদের জন্য হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা অত্যন্ত জরুরি। চমেক হাসপাতালে ৮০টি, জেনারেল হাসপাতালে ৩০টি, বিআইটিআইডিতে ১০টি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ১০০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে এগুলো ব্যবহার করা হবে। আমরা সকলে সচেতন হলে করোনা মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরি সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. সুমনী আক্তার, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক মো সাঈদ হাসান, জেলা শিক্ষা অফিসার এস.এম জিয়াউল হায়দার হেনরী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. মো. নুরুল হায়দার, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ কফিল উদ্দিন, সিটি কর্পোরেশনের জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. মো. হাসান মুরাদ চৌধুরী ও জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৭৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত শনাক্ত হয়েছেন ২০০ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ১৭১ জন নগরের ও ২৯ জন উপজেলার বাসিন্দা। এখন পর্যন্ত শনাক্ত ৩৭ হাজার ৭৫১ জনের মধ্যে ২৯ হাজার ৮৮১ জন নগরের ও ৭ হাজার ৮৭০ জন উপজেলা পর্যায়ের বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় কেউ মারা যাননি। এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন মোট ৩৮৩ জন। এর মধ্যে ২৮১ জন নগরের ও ১০২ জন উপজেলার বাসিন্দা।

বিএনএনিউজ/মনির

Loading


শিরোনাম বিএনএ