বিএনএ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেছেন, আসন্ন রমজানে জনদুর্ভোগ কমাতে এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। ৩০ মার্চ থেকে বাজারে বাজারে গিয়ে দ্রব্যমূল্য মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
সোমবার (২২ মার্চ) নগরীর জামালখানস্থ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, গত ৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে যোগদানের পর বড় চ্যালেঞ্জ ছিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে নিয়ে যে স্বপ্ন দেখছেন তা বাস্তবায়নে সাধ্যমতো কাজ করে যাবো। জেলা প্রশাসন কার্যালয়েও অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। দুর্নীতিমুক্ত মানবিক জেলা প্রশাসন গড়তে ৩ জনকে বরখাস্ত এবং ৭ জন সহকর্মীকে স্ট্যান্ড রিলিজ করেছি।জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে দুইজন দালালকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্ণফুলী নদীর সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। সেই সাথে ঢাকার আদলে উচ্চ আদালতের র্নিদেশ অনুযায়ী চট্টগ্রামের ৭১টি খাল আর এস সিট অনুযায়ী জরিপ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করবেন বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘অবৈধ দখলদার যতই শক্তিশালী হোক সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। উচ্চ আদালতের একটা নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। উক্ত নির্দেশ পাওয়ার পট অনতিবিলম্বে মনোহরখালী থেকে বাকলিয়ারচর পর্যন্ত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।‘
প্রেসক্লাবে মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ‘মহানগরীর সকল খাল আর এস জরিপ অনুযায়ী চিহ্নিত করার কাজ শুরু করা হবে। পরবর্তীতে জরিপ অনুযায়ী খাল উদ্ধার করা হবে।‘
২০১৬ সালে উচ্চ আদালতের নির্দেশের ভিত্তিতে চট্টগ্রামে নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকারী ৪৭ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ৩০ দিনের সময় দিয়ে উচ্ছেদ নোটিশ প্রদান করে।
মমিনুর রহমান বলেন, বিএনসিসি, রেড ক্রিসেন্ট, রোভার স্কাটউসহ সব স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও এনজিওকে সংযুক্ত করে কোভিড সুরক্ষা সচেতনা প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করছি। জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য-শিক্ষা-চিকিৎসা-স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করে এমন ১৩টি এনজিও সংস্থার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়ানো গেলে কোভিড আক্রান্তের হার কমবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে দেশের উন্নয়ন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। আপনার মতো একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তিকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব দিয়েছেন। আশা করছি, আপনি চট্টগ্রামে থাকাকালীন দৃষ্টান্তমূলক কাজ করে যাবেন। চট্টগ্রামের সাংবাদিক সমাজ আপনার ভালো কাজে সবসময় পাশে থাকবে।
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ধন্যবাদ বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাহউদ্দিন মো. রেজা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।
এসময় প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি স ম ইব্রাহীম, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, মনজুর কাদের মনজুসহ প্রেস ক্লাব, সিইউজে, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা, চট্টগ্রামের সিনিয়র সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
বিএনএনিউজ / মনির