বিএনএ, ডেস্ক : বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীরা ‘ইন্ডিয়া আউট’ নামের যে ক্যাম্পেইন শুরু করেছে, এটি দ্রুতই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের কারণে দেশটির প্রতি বিরোধীদের মনোভাবে বিস্ময়কর পরিবর্তন এসেছে।
১৮ জানুয়ারী প্রকাশিত ভারতের ইউটিউবার পালকি শর্মার শো’তে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। ভ্যানটেজের সঙ্গে করা ওই অনুষ্ঠানটির উপস্থাপক পালকি শর্মা ফাস্টপোস্ট নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
এতে বলা হয়, প্রতিবেশীদের মধ্যে ভারত বিতাড়ন বা ‘ইন্ডিয়া আউট’ ক্যাম্পেইন প্রথম শুরু করে মালদ্বীপ। এবার সেটি বাংলাদেশে শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দেশটির বিরোধী দল বিএনপি এটি লুফে নিয়েছে। এই দলটির দীর্ঘদিন দেশ শাসন করার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
২০০৭ সালের ১১ই জানুয়ারি সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে বিএনপি ক্ষমতা বলয়ের বাহিরে রয়েছে। ২০০৮ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করলেও সরকার গঠনের মতো আসন পায়নি। সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ বয়কট করে দলটি। ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও মাত্র ৬টি আসন পায়। দীর্ঘ আন্দোলন করেও সফলতা পায়নি বিএনপি। বার বার আওয়ামী লীগের কুটকৌশলের কাছে ধরাশায়ী হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাস্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের জোরালো সমর্থন পেলেও রাজপথের আন্দোলনে কাজে লাগাতে পারেনি। ভারত চীন, রাশিয়ার সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপি ছাড়াই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে সক্ষম হয়।
বিএনপির নীতি নির্ধারকরা মনে করে ভারত আওয়ামী লীগকে সমর্থন দিয়ে সরকার গঠনে সহায়তা করেছে।
ঘরে-বাহিরে সঙ্কটে থাকা দলটি রাজনৈতিক কৌশল হিসাবে মালদ্বীপের ‘ভারত আউট’ সূত্র বাংলাদেশে প্রয়োগ করতে তৎপর রয়েছে।
তারই ধারাবাহিকতায় ‘বয়কট ইন্ডিয়া’ ক্যাম্পেইনের একটি ইউটিউব একাউন্ট খোলা হয়েছে। যে একাউন্ডটিতে ৫০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে। অন্য একটি একাউন্ট থেকেও ভারতীয় পণ্য বর্জন সম্পর্কিত হ্যাশট্যাগ ক্যাম্পেইন চালানো হয়। ওই একাউন্ট থেকে চালানো প্রচারণায় বলা হয় ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে ধ্বংস করছে।
তবে নতুন মন্ত্রীসভাকে পুরোপুরি ভারতপন্থী বলা যাবেনা । গত কেবিনেটের প্রো-ইন্ডিয়ান হিসেবে পরিচিত কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনকে বাদ দেয়া হয়েছে। এবার চীন , রাশিয়া, ভারত সহ সবপন্থীদের সংমিশ্রণে নতুন কেবিনেট গঠিত হয়েছে। তাই ভারত বিরোধী ক্যাম্পেইন হালে পানি পাবেনা বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
বিএনএ/ ওজি/ হাসনা