বিএনএ,বিশ্ব ডেস্ক: বিরোধী দলকে দমনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী একমাসে ১৮ বার বিমান হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে ইরাবতী অনলাইন। শনিবার(২১ জানুয়ারি) পত্রিকাটি একমাসের তথ্য প্রকাশ করে জানায়, গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ হতে ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ এ সব ঘটনা ঘটেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা নির্বিচারে ৮৭ জনকে হত্যা, ৭২টি গ্রাম পুড়িয়ে দিয়েছে। আহত হয়েছে ১০৩জন। গ্রেপ্তার করা হয় ১১৩জনকে।
এদিকে ২০২৩ সালে একটি জাতীয় নির্বাচন করার জন্য নতুন করে ভোটার তালিকা তৈরি করছে। তবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় নি।
সম্মিলিত বিরোধী দল (এনইউজি) ও সংখ্যালঘু গোষ্টিগুলো এবং স্বাধীনতাকামী গেরিলা বাহিনী সমূহ নির্বাচন বয়কট করার হুমকি দিয়ে বলেছে, জান্তা সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করা যাবে না। জান্তা আয়োজিত যে কোন নির্বাচনে কেউ সহযোগিতা করলে, অংশ নিলে তাদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে। ইতোমধ্যে ভোটার তৈরির কাছে নিযুক্ত কয়েকজন কর্মী ও কর্মকর্তা সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন।
২০২০ সালের ১ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী দেশটির ক্ষমতা দখলের পর হতে সব রাজনৈতিক দল, জোট দেশটিতে তীব্র গণ আন্দোলন ও সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সহস্রাধিক মানুষ নিহত, হাজার হাজার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ন্যাশনাল ইউনিটি গভমেন্ট(এনইউজি) ক্ষমতা হস্তান্তর না করা পর্যন্ত দেশটিতে সশস্ত্র প্রতিরোধ চালিয়ে যেতে অঙ্গীকার করেছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকে গত দুই বছরে, সেনা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর নির্দেশে ৯০জনের বেশি প্রাক্তন আইন প্রণেতা সহ প্রায় ২শতাধিক এনএলডি সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৭৭ জন কারাগারে নির্যাতনে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে এনএলডির প্রাক্তন আইনপ্রণেতা কো ফিও জেয়া থাও রয়েছেন, যাকে ইয়াঙ্গুনের ইনসেইন কারাগারে ফাঁসি দেয়া হয়।
সামরিক সরকার ৭৭ বছর বয়সি এনএলডি নেত্রী দা অং সান সু চিকে মোট ৩৩ বছরের জেলও দিয়েছে।
বিএনএনিউজ,জিএন