ঢাকা আহছানিয়া মিশন পরিচালিত কাপ আপ প্রকল্পের মিরপুর ফিল্ড অফিস এর গোধূলি ইউ সি এল সি র সিএমসি কমিটির উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাংলাদেশে বিমানবাহিনী জাদুঘরে একটি শিক্ষা সফর এর আয়োজন করা হয় । এবং একই সাথে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা করানো হয়। ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, মার্বেল চামচ , চেয়ার সিটিং খেলা পরিচালনা করা হয়। বিমান বাহিনী সামরিক জাদুঘরটি মূলত বিভিন্ন সময়ের হেলিকপ্টার ও বিমান দিয়েই সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ-বলাকাঃ বলাকা বাংলাদেশের প্রথম যাত্রীবাহী বিমান।
রাশিয়ার তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশে আসে ১৯৫৮ সালে। এয়ার টুওরারঃ ট্রেইনিংয়ে জন্য এই বিমান ব্যবহার করা হয়। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ডের তৈরি এই বিমান বাংলাদেশ বিমান বাহিনিতে যোগ হয়। পিটি-৬ঃ ১৯৮৫ সালে চিনের তৈরি এই বিমানটি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে যুক্ত হয়। ফুগাসি এম-১৭০ঃ ফ্রান্সে ১৯৬০ সালে তৈরি করা এই বিমানটি বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে যুক্ত হয় ১৯৯৭ সালে। গ্লাইডারঃ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর আকাশ অভিজ্ঞতার জন্য জার্মানির দেওয়া এই বিমানটি বাংলাদেশে আনা হয় ১৯৮২ সালে। এয়ারটেক কানাডিয়ান ডিএইচ ৩/১০০০ঃ কানাডার তৈরি এই বোমারু বিমানটি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম সুমদ্র বন্দরে সফল অভিযান পরিচালনা করে। হান্টার বিমানঃ মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত বাংলাদেশকে ভূমি শত্রু থেকে রক্ষা করতে এই বিমানটি ব্যবহার করে। ভারতীয় বিমানবাহিনী বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে এই বিমানটি উপহার দেয়।
বিমান বাহিনীর সরঞ্জাম প্রদর্শনের পাশাপাশি ফুড কোর্ট ও স্যুভেনির শপ আছে জাদুঘরটিতে।এখানে বাচ্চারা যেমন খেলার সুযোগ পেয়েছে তেমনি পেয়েছে শিক্ষণীয় অনেক কিছু , একই সাথে জানতে পেরেছে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সম্পর্কেও ।