বিএনএ, খেলা ডেস্ক : নয়নাভিরাম দৃশ্য আর স্থাপত্যশৈলী নিয়ে শিগগিরই যাত্রা শুরু ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের স্বপ্নের ক্রিকেট একাডেমি।
ঢাকার রূপগঞ্জের কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বিশ্বমানের এই একাডেমি।
বিশ্বমানের ক্রিকেটার গড়ে তুলতে যেকোনো দেশেই ক্রিকেট একাডেমিগুলো বড় ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে ব্যক্তি উদ্যোগে বিশ্বমানের কোনো ক্রিকেট একাডেমি নেই। বাংলাদেশের মাটিতে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বমানের ক্রিকেট একাডেমি গড়ার স্বপ্ন দেখছিলেন সাকিব আল হাসান।
১৬ বিঘা জমির ওপর গড়ে উঠছে এই ক্রিকেট একাডেমি। চলতি বছরের মে মাসে একাডেমির কাজ শুরু করলেও মাঝখানে করোনার কারণে কাজ বন্ধ ছিল। গত সেপ্টেম্বর থেকে আবারও কাজ শুরু হয়েছে।
একাডেমির ভেতরেই গড়ে তোলা হচ্ছে ইনডোর গেমস ফ্যাসিলিটি। তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের রেস্টুরেন্ট। থাকছে আধুনিক জিমনেসিয়াম। থাকবে বিশ্বমানের আবাসিক হোস্টেল। বড় মাঠের পাশাপাশি ভার্চুয়াল বোলিং মেশিন থাকবে।
একাডেমির হেড অব কোচ হওয়ার কথা সাকিব আল হাসানের একসময়ের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের। রোববার সকালে মাসকো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমিতে গিয়ে দেখা গেছে, কেন্দুয়া এলাকার ছায়াঘেরা শান্ত-সুনিবিড় এলাকায় দ্রুত গতিতে চলছে নির্মাণকাজ।
বাইরের দৃষ্টিনন্দন দেয়াল দেখে যে কেউ চমকে যাবে। মাঠের পশ্চিম প্রান্তে করা হচ্ছে ইনডোর গেমস। পূর্বে উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট ও ব্যায়ামাগার। দক্ষিণে বিশ্বমানের আবাসিক হোস্টেল। আর মাঠের নরম ঘাস দেখে মনে হবে মখমলের গালিচা।
দেশের ক্রিকেটের পোস্টারবয় সাকিব আল হাসানের স্বপ্নের একাডেমি। প্রায় ১৬ বিঘা জমির ওপর নির্মাণ হচ্ছে আধুনিক এই ক্রিকেট একাডেমি। ইতোমধ্যে গ্রাউন্ডসম্যান ও পিচ কিউরেটরও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান মাসকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ সবুর বলেন, ‘সাকিবের আগ্রহের কারণেই আমরা এই একাডেমির কাজ শুরু করেছি। সাকিব আমাদের সঙ্গে থাকায় গর্বিত আমরা। দেশের সবচেয়ে উন্নত সুবিধা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি আমরা। আশা করছি দেশের সেরা একটি ক্রিকেট একাডেমি হবে এটি।’
এই একাডেমিতে থাকবে উন্নতমানের জিমনেশিয়াম। থাকবে ভার্চুয়াল বোলিং মেশিন। আর ইনডোর-আউটডোর সুবিধাতো থাকছেই। গড়ে তোলা হবে আবাসিক হোস্টেলও।
এম এ সবুর আরো বলেন, এখানে ডাক্তার থাকবে। হোস্টেল সুবিধা, মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট থাকবে।
সাকিবের একাডেমি, তাই কোচও হওয়া চাই চমকপ্রদ। আর তাই এখানকার দেখভালের দায়িত্ব পড়েছে দেশসেরা কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের কাঁধে।
বাংলাদেশের ক্রিকেটে প্রতিভার মূল উৎস এখনো বয়সভিত্তিক ক্রিকেট। তাই প্রতিভা অন্বেষণে বিসিবির সঙ্গে একই মোহনায় মিলিত হতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।
তিনি জানান, বিসিবির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করবো আমরা। তাদের সঙ্গে একাত্মতা রেখে কাজ করতে চাই। বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ করতে চাই আমরা। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি নাগাদ পূর্ণাঙ্গ একাডেমিক কাজ শুরু করতে পারবো আশা রাখি।’
সাকিবকে সঙ্গী করে নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে বদ্ধ পরিকর মাসকো-সাকিব ক্রিকেট একাডেমি। এখান থেকেই উঠে আসবে আগামী দিনের তারকা ক্রিকেটার। যাদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট। এমন আশাবাদ একাডেমি সংশ্লিষ্টদের।
বিএনএনিউজ/আরিফুল/জেবি