বিএনএ ডেস্ক : পৌষের প্রথম সপ্তাহেই শীতে স্থবির হয়ে পড়েছে সারা দেশ। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার এ শৈত্যপ্রবাহ আরো দুদিন অব্যাহত থাকবে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে ডিসেম্বরের শেষ ও জানুয়ারির শুরুতে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামার সম্ভাবনা আছে।
গতকাল দেশের সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। সোমবারও (২১ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৭ ডিগ্রি ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সীতাকুণ্ডে সাড়ে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, গোপালগঞ্জ, সীতাকুণ্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, বদলগাছী, তেঁতুলিয়া, রাজারহাট ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা আরও কোনো কোনো স্থান থেকে দূরীভূত হতে পারে।
অন্যদিকে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্য জায়গায় কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
এদিকে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও সোমবার সকাল থেকে কুয়াশা কম দেখা গেছে পঞ্চগড় জেলাতে। চারদিন ধরে টানা শৈত্যপ্রবাহে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা সর্দি, কাশি, ডায়েরিয়াসহ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। শীতের প্রভাবে সাধারণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে।
বিএনএ/ওজি