হরতাল ও অবরোধে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা হয়। যানবাহনে আগুন দেয়ার ভিডিও পাঠানো হয় দলের শীর্ষ নেতাদের কাছে। সম্প্রতি রাজধানীতে বাসে আগুন দেয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর ২০২৩) মধ্যাহেৃ র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য জানিয়েছেন।
কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
বসুমতি পরিবহনের বাসে আগুন,গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর মিরপুরের কালশী এলাকায় গেল ১৮ নভেম্বর বসুমতি পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়। এ ঘটনায় জড়িত পল্লবী থানা যুবদলের চারজনকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে সোমবার রাতে র্যাব আল মোহাম্মদ চাঁনসহ ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
এরা হলেন: আল মোহাম্মদ চাঁন (২৭), মো. সাগর (২৫), মো. আল আমিন ওরফে রুবেল (২৯) ও মো. খোরশেদ আলম (৩৪)।র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক বলেন,
গ্রেপ্তার হওয়া চারজন বিরোধী একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী। তাদের দলের স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনায় গ্রেপ্তার আল মোহাম্মদ চাঁন রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবীর আশপাশের এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ করার পরিকল্পনা করে।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ১৮ নভেম্বর মিরপুরের কালশীতে ‘বসুমতি পরিবহনের’ একটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ধারণ করে শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের পাঠায় আল মোহাম্মদ চাঁন।
তিনি বলেন, এই কাজে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা থাকলেও সাগর ও আল আমিনকে ৭ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছে বলে স্বীকার করে চাঁন।
বিএনএনিউজ২৪,জিএন
