বিএনএ ডেস্ক: অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বক্তৃতায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের বীরগাথা তুলে ধরবেন। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন তিনি।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে এই প্রথম বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, ছাত্ররা ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে কীভাবে সফল অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে এবং মানুষের মধ্যে নতুন স্বপ্নের বীজ বপন করেছে– প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে এর প্রতিফলন থাকবে।
শফিকুল আলম জানান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে। এ ছাড়া তিনি আরও কিছু বৈঠকে অংশ নেবেন।
শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক শাসনের অবসানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন অধ্যাপক ইউনূস। গর্বিত ও মর্যাদাশীল হিসেবে দেশের জনগণ বিশ্ব পরিমণ্ডলে নিজেদের কীভাবে তুলে ধরতে চায়, সেটিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন তিনি। ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে ছাত্র-জনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরা হবে। তিনি ভূরাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে উদাত্ত আহ্বান জানাবেন।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ