বিএনএ, ঢাকা: মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা আজ বুধবার। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কার মধ্যেই গতবারের মতো এবারও ঈদ উদযাপন করবেন মুসলমানরা। মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদকে ঘিরে যে আনন্দ-উচ্ছাস থাকার কথা তা ম্লান করে দিয়েছে বৈশ্বিক অতিমারী করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯)।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসী ও সারাবিশ্বের মুসলমানদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তারা মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করেছেন।
ঈদ মানে আনন্দ হলেও গতবারের মতো এবারও ঈদও আনন্দ নিয়ে হাজির হচ্ছে না নিশ্চিত। বুধবার আরেকটি বিষাদমাখা ঈদই উদ্যাপন করবে বাংলাদেশ, যে দিনেও গুনতে হবে মৃত্যুর সংখ্যা।
তবে সংক্রমণ এড়াতে এবারও সতর্ক অবস্থানে বাংলাদেশ সরকার। স্বাস্থ্যবিধি মেনে গরুর হাটে বসেছে। শুধু ঈদ উপলক্ষে চলমান লকডাউনে শিথিলতা আনা হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনের ভোর থেকেই ফের কঠোর লকডাউন চলবে। গণপরিবহণ, দোকান-পাট, শপিংমল, সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ এবার পোশাকশিল্পও বন্ধ থাকবে।এমন লকডাউন চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত।
করোনার সংক্রমণ এড়াতে এবারও জাতীয় ঈদ গাহ, শোলাকিয়া, সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে এবার হচ্ছে না ঈদের জামাত।
তবে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল আজহার পাঁচটি জামাত হবে। করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধকল্পে ঈদুল ফিতরের মতো এই ঈদেও সরকারের নির্দেশনায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঈদের জামাত শেষে কোলাকোলি এবং হাত মেলানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দুই ঈদের রাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং মর্যাদাপূর্ণ। ঈদ যেমন আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, তেমন নিয়ে আসে আল্লাহর নৈকট্যলাভের মহাসুযোগ। ঈদের রাত যেমন আনন্দ-খুশির, ঠিক দুনিয়ার যাবতীয় কল্যাণ ও মঙ্গলপ্রাপ্তির রাত জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাতলাভের মহাসুযোগপ্রাপ্তির রাত। তাই ঈদের রাত জেগে ইবাদত করার ফজিলত অনেক বেশি।
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, যে ব্যক্তি জুমার রাত, রজব মাসের প্রথম রাত, অর্ধ শাবানের রাত এবং দুই ঈদের রাতসহ এ পাঁচ রাতে কোনো দোয়া করে, সে রাতে তার কোনো আবেদনই ফিরিয়ে দেয়া হয় না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস -৭৯২৭)
জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদযাপিত হলেও পরের দুই দিনও পশু কোরবানি করার বিধান রয়েছে। সামর্থবান মুসলমানদের জন্য কোরবানি ফরজ হলেও ঈদের আনন্দ থেকে দরিদ্র-দুঃস্থরাও বঞ্চিত হবেন না। কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির সমুদয় অর্থ এবং কোরবানি দেওয়া পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ তাদের মধ্যে বন্টন করে দেওয়া হবে।
ঈদুল আজহা নামাজ এর নিয়ত ও নিয়ম
বিএনএ বাংলানিউজ২৪.কম,এসজিএন