বিএনএ,চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নাপিত্তাছড়া ঝর্ণায় নিখোঁজ হওয়া তারেক নামে আরও এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সর্ভিস। মঙ্গলবার (২১ জুন ) সকালে তারেকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নাপিত্তাছড়া ঝর্ণার পাশের একটি ছড়া থেকে মাসুদ আহম্মেদ তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা নগরীর হালিশহরের বাসিন্দা সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
এর আগে রোববার রাতে তাদের বন্ধু ইশতিয়াকুর রহমান প্রান্তর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি একই এলাকার জনতা ব্যাংকের জিএম জাকারিয়ার ছেলে।
পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকালে তৌফিক আহম্মেদ তারেক, মাসুদ আহম্মেদ তানভীর ও ইশতিয়াকুর রহমান প্রান্ত চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকা থেকে নাপিত্তা ছড়া ঝর্ণা দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়।
এরপর তারা ঝর্ণা এলাকার একটি টি স্টলে নিজেদের ব্যাগ রেখে ঝর্ণার চূড়ায় আরহণ করে। এরপর তারা তিনজনই নিখোঁজ হয়। তবে ঝর্ণার দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরসরাই থানা পুলিশকে খবর দিলে।
এরপর ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিখোঁজ ইশতিয়াকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করলে পুলিশ তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত ইশতিয়াক চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর বি ব্লকের মোহাম্মদ জাকারিয়ার ছেলে। তার বয়স ২০ বছর।
মিরসরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কবির হোসেন জানান, নিহত ইশতিয়াকের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য চমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ দুই সহোদর তানভীর ও তারেকের মধ্যে তানভীরের মরদেহ একটি ছড়া থেকে সোমবার বিকাল ৪ টায় উদ্ধার করা হয়েছে।
তানভীরের ছোট ভাই কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র তারেকের মরদেহ ৪০ ঘন্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তারা চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহর এলাকার বি ব্লকের বাসিন্দা। তবে তাদের গ্রামের বাড়ি মিরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের পশ্চিম জোয়ার গ্রামে বলে জানান তিনি।
নিহত তানভীর ও নিখোঁজ তারেকের মামা মো. তৌহিদুল ইসলাম সুমন জানান, নিহত তানভীর চট্টগ্রাম নগরীর ইউএসটিসি’র স্নাতকের ছাত্র এবং তারেক চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে। নিহত ইশতিয়াক তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে চট্টগ্রাম ইস্পাহানী পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেছে।
বিএনএনিউজ২৪.কম/আশরাফ উদ্দিন/এনএএম