বিএনএ ডেস্ক: গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া দায়। ব্যস্ত জীবনে ফাস্ট ফুড বা তৈলাক্ত নানান রকম খাবার খেয়ে বাড়ছে মানুষের গ্যাসের সমস্যা। যেকোন ঘরে গেলেই মিলবে এক পাতা গ্যাসের ওষুধ বা সিরাপ। তবে দিনের পর দিন ওষুধ খেয়েও মিলছে না কোন সমাধান। বরং বাড়াতে হচ্ছে ওষুধের মাত্রা। ফলে শারীরিক নানা জটিলতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে দিন দিন। তাহলে এই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে সমাধানের উপায় কি? আছে কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন ঘরোয়া কোন সমাধান?
তবে হ্যা, ঘরোয় কিছু উপায় মেনে চললে গ্যাস বা অম্বল মুক্ত থাকা সম্ভব। প্রাকৃতিক ও সহজে পাওয়া যায় এমন সব জিনিস দিয়ে গ্যাস, বুক জ্বালা-অম্বল থেকে মুক্ত থাকতে নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে পারেন।
গ্যাস থেকে বাঁচতে ঘরোয়া ১০টি উপায়…
১. কলা: পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার। সারাদিনে অন্তত দুটো কলা খান। তাতে শরীরে এনার্জি যোগানের পাশাপাশি মিলবে গ্যাস থেকে মুক্তি।
২. ঠান্ডা দুধ: পাকস্থলির গ্যাসট্রিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠান্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডি দূরে থাকে।
৩. দারুচিনি: হজমের জন্য খুবই কার্যক্রর। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে মিলবে মুক্তি।
৪. মৌরির ভেজানো পানি: মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি নিয়মিত খেলে গ্যাসের সমস্যার সমস্যা সহজে পাওয়া সম্ভব।
৫. জিরে: গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকারসহ নানা সমস্যা সমাধানে অত্যন্ত কার্যক্রর জিরে। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর চলে যাবে।
৬. লবঙ্গ: দিনে ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হবে। পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে লবঙ্গ বেশ কার্যকর।
৭. এলাচ: লবঙ্গের মত এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে। তবে নিয়মিত চালিয়ে যেতে হবে।
৮. পুদিনা পাতা ভেজা পানি: এক গ্লান পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে পান করতে হবে। তাতে পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে করবে।
৯. আমলকি: আমলকি টুকরো করে রোদে দিয়ে খেতে পারলে বেশ কাজে দেয়। পেটে গ্যাস ও বদহজমজনিত সমস্যা সমাধানে এটি বেশ কার্যকর।
১০. আদা: রান্নায় আদার ব্যবহার বা কিছু পরিমাণ আদা চিবিয়ে রসটুকু খেতে পারলে গ্যাসের সমস্যা দূরে থাকবে।
তবে শরীর সুস্থ্য রাখতে সবার আগে জরুরি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ ও শরীর চার্চায় নিয়মিত হওয়া। নিয়মিত ঘুমানো ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা গেলে গ্যাসসহ বিভিন্ন রোগ এমনিতে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
বিএনএ/ এ আর