বিএনএ, বিশ্ব ডেস্ক : পবিত্র রমজান মাসেও বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ, প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা , গুলি করে হত্যা , পবিত্র আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায়ে বাধা দেয়া ও হত্যার ঘটনায় সৃষ্ট ১১দিনের সংঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ফিলিস্তিনিরা। এটি প্রকৃতপক্ষে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল রাষ্ট্রীয় যুদ্ধ ছিল না।
ফিলিস্তিনের স্বায়ত্ব শাসিত অঞ্চল গাজায় ইসরায়েলি সেনা বাহিনীর নারকীয় তাণ্ডবের প্রতিবাদে গাজা শাসনকারী ইসলামিক গ্রুপ হামাস ও ইসলামিক জিহাদ পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ইসরায়েলি বিমান হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে তারা রকেট হামলা চালায়।
দুপক্ষই মারাত্মক শক্তি খুঁইয়েছে। মিসরের মধ্যস্থতায় দুপক্ষই যুদ্ধবিরতিতে এসেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মে) পর্যন্ত দেখে নেয়া যাক যুদ্ধকালীন ক্ষয়ক্ষতির চিত্রগুলো-
-১০ মে থেকে শুরু হওয়া এ সংঘাতে ২৩২ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে; যার মধ্যে ৬৫টি শিশু। অন্যদিকে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছে।
– গত ২৪ ঘণ্টায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত ও ১৯০ জন আহত হয়েছে।
– জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৯১ হাজার মানুষ গাজা থেকে উদ্বাস্তু হয়েছে।
– গাজার আবাসন মন্ত্রণালয় বলছে, ১৬ হাজার ৮০০ ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে ১ হাজার ৮০০ বাড়ি বসবাসের অনুপোযুক্ত ও ১ হাজার ঘরবাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে।
– হামাসের মিডিয়া অফিস ধারণা করছে, শিল্পাঞ্চল এলাকায় বোমা হামলায় চার কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।
– ইসরায়েল বাহিনী বলছে, গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় সাড় চার হাজার রকেট ছোড়া হয়েছে। তার মধ্যে ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করা হয়েছে। আয়রন ডোম উৎপাদনকারী সংস্থার হিসেবে, ইসরায়েলের প্রথম তিন দিনের সংঘাতে ১৬ কোটি ডলারের বেশি মূল্য দিতে হয়েছে।
বিএনএনিউজ২৪/এসজিএন