বিএনএ: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক কাউন্সিলর ও সাবেক যুবলীগ নেতা খাইরুল আলম জেমের মরদেহ নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে সোনামসজিদ-রাজশাহী সড়কের শান্তিমোড়ে সড়ক অবরোধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এ সময় বাঁশ দিয়ে সড়কের গতিরোধ করে নেতাকর্মীরা। এতে সড়কের দুই দিকে বিভিন্ন যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়।
পরে স্থানীয় প্রশাসনের আশ্বাসে এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওদুদের অনুরোধে সড়ক থেকে সরে যান নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইফতারি কিনে বাসায় ফেরার পথে শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন নেতাকর্মীরা। ময়নাতদন্ত শেষে বিভিন্ন সড়কে মিছিল করে ওয়ালটন মোড়স্থ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে সমবেত হয়। এ সময় দলের পক্ষ থেকে নিহত খাইরুল আলম জেমকে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসীসহ আ. লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
পরে বেলা পৌনে তিনটার দিকে জেলা শহরের ফকিরপাড়া ঈদগাহ ময়দানে প্রথম, নয়াগোলায় দ্বিতীয় ও শিবগঞ্জ উপজেলার মর্দানায় তৃতীয় জানাজা শেষে সেখানেই পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে, জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাতে আটক করে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। তিনি জানান, রাজনৈতিক কোন্দলের জের ধরেই প্রতিপক্ষ এ হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাতেই সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম পরিচয় প্রকাশ করছে না পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
হত্যার সঙ্গে ১২-১৫ জন সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন উল্লেখ করে আবুল কালাম সাহিদ আরও বলেন, ঘটনার পর বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত থানায় কোনো এজাহার হয়নি। নিহতের স্বজনরা থানায় এজাহার করলে মামলা গ্রহণ করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনএ নিউজ/এ আর