বিএনএ, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় নুসরাত জাহাম মীমকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে নুসরাতকে একজন ধর্ষণ করে। পরে প্রথমজনের পাহারায় আরও এক যু্বক ধর্ষণ করে নুসরাতকে। এতে নুসরাত জ্ঞান হারালে প্রমাণ লোপাট করতে তাকে গলা টিপে হত্যা করে নেতাই নদীতে ফেলে দেয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দরের মাইলামপাড়া এলাকার মো. ইস্রাফিল মিয়ার ছেলে ইউসুফ আলী (২০)। অপরজন ১৩ বছরের এক শিশু।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঁঞা।
এর আগে সোমবার (২০ মার্চ) জেলার ধোবাউড়া উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা পুলিশ (ডিবি) তাদের গ্রেফতার করে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যার দিকে কলসিন্দুর এলাকার খোকন মিয়ার শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়। পরে ওই দিন রাত সাড়ে ৯ টার দিকে কলসিন্দুর নেতাই নদী থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় তার স্বজনরা। ওই দিন মধ্যরাতে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পরদিন ১৯ মার্চ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায় এবং প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
পরে ওই দিন রাতে ভিক্টিম নিহত নুসরাতের বাবা খোকন মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামী করে ধোবাউড়ায় থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০ মার্চ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইউসুফ আলীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃত ১৩ বছরের শিশু ইউসুফের ঘনিষ্ট সহচর। ঘটনার দিন ইউসুফ ও তার সহচর নুসরাতের বাড়ির পাশে উৎপেতে থাকে। নুসরাত তাদের কাছাকাছি আসতেই তার মুখ চেপে ধরে পাশের কলা বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে নুসরাতকে প্রথমে গ্রেফতারকৃত ১৩ বছরের শিশু ধর্ষণ করে। তার পাহারায় ইউসুফ ধর্ষণ করলে নুসরাত জ্ঞান হারায়। এমতাবস্থায় প্রমাণ লোপাট করতে নুসরাতকে শ্বাসরোধে হত্যার পর নেতাই নদীতে মরদেহ ফেলে দেয়।
গ্রেফতারকৃত ইউসুফ ও তার সহযোগীকে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান তিনি।
বিএনএনিউজ/ হামিমুর রহমান, বিএম