বিএনএ ডেস্ক: মূল্যস্ফীতির কারণে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের প্রবৃদ্ধি কমেছে। তবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে (এনবিএফআই) চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) কোটি টাকার বেশি জমা থাকা হিসাব বেড়েছে ৪৩৪টি। একই সময়ে এসব অ্যাকাউন্টে জমা টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক হালনাগাদ তথ্য থেকে এ কথা জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা থাকা ৫ হাজার ৩২৬টি অ্যাকাউন্টে মোট জমার পরিমাণ ২৪ হাজার ৮৩৭ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর শেষে এ ধরনের অ্যাকাউন্ট ছিল ৪ হাজার ৮৯২টি। তখন এসব অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ২৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ডিসেম্বর শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫ লাখ ২২ হাজার অ্যাকাউন্টে জমা ছিল ৪৩ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ কোটিপতি অ্যাকাউন্টগুলোতেই আছে মোট জমার ৫৭ শতাংশ। মোট আমানতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৭০০ কোটি টাকা জমা আছে এক থেকে দুই বছর মেয়াদি। এ ছাড়া ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদি আমানত আছে ১০ হাজার ৬৫১ কোটি টাকার।
সেপ্টেম্বরে ৫ লাখ ৭০ হাজার অ্যাকাউন্টে ৪১ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা জমা ছিল। এর পরবর্তী তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) এ খাতে আমানত ২ হাজার ১৬৮ কোটি টাকা বাড়লেও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা কমেছে ৪৮ হাজার ৬৩৭টি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) জানান, আগের কয়েকটি প্রান্তিকে পিপলস লিজিংয়ের হিসাব যোগ করা হয়নি। ডিসেম্বর প্রান্তিকে সেটি যুক্ত হয়েছে। নানা অনিয়মের কারণে খারাপ অবস্থায় থাকা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার আমানত আছে। এ কারণে আমানতের প্রবৃদ্ধি দেখাচ্ছে। মূলত অল্প কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকিগুলোতে আমানত সেভাবে বাড়েনি।
বিএনএনিউজ২৪/ এমএইচ