বিএনএ, ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চডুবির ঘটনায় করা মামলায় জাহাজের চালক, মাস্টারসহ ৮ জনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২১ মার্চ) বিকেলে শুনানি শেষে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেক আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন।
এর আগে লঞ্চডুবির ঘটনায় এমভি রূপসী-৯ জাহাজের চালকসহ ৮ জনকে আসমি করে বন্দর থানায় মামলা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক বাবু লাল বদ্য এই মামলা করেন।
বন্দর থানায় করা মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, রবিবার দুপুর ১টা ৫৮ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে এম এল আফছার উদ্দিন নামে একতলাবিশিষ্ট যাত্রীবাহী লঞ্চটি ৩৪-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে কাঁচপুর থেকে বেপরোয়া গতিতে আসা এমভি রূপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজটি তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতুর ৫০০ মিটার উত্তর পাশে ধাক্কা দিয়ে কিছুদূর ঠেলে ডুবিয়ে দেয় লঞ্চটিকে। ঘটনার পর লঞ্চের স্টাফসহ কয়েকজন যাত্রী সাঁতরে উঠতে পারলেও কিছু সংখ্যক লোক লঞ্চের ভেতর আটকে পড়ে পানির মধ্যে ডুবে যায়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে কার্গো জাহাজের মাস্টার রমজান আলী শেখ (৫৬), মাস্টার নুরুল আলম (৪৩), ইঞ্জিনিয়ার আরিফুল ইসলাম (২৯), ইঞ্জিনিয়ার নাদিম হোসেন (২৪), লস্কর সুমন হোসেন (২৪), লস্কর মো. ইয়াসিন (২২), সুকানি জাহিদুল ইসলাম (২৪), গ্রিজার রিয়াদ হোসেন (২৩)।
লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন হাসপাতালে মারা গেছেন। বাকিদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন পুরুষ ও দুই শিশু রয়েছে। সেইসঙ্গে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ১৫ জনকে। এখনও নিখোঁজ চারজন।
বিএনএ/এমএফ