29 C
আবহাওয়া
৭:১৭ অপরাহ্ণ - নভেম্বর ২০, ২০২৪
Bnanews24.com
Home » মুক্তিযুদ্ধের দলিল : প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের বেতার ভাষণ, পর্ব-৩

মুক্তিযুদ্ধের দলিল : প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের বেতার ভাষণ, পর্ব-৩

প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের ভাষণ

বাংলাদেশবাসীর উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে

প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দীন আহমদের বেতার ভাষণ

(স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র হ’তে ১১-৪-৭১ তারিখে প্রচারিত)

বিএনএ ডেস্ক : ময়মনসিংহ ও টাংগাইল অঞ্চলের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মেজর সফিউল্লার উপর। ময়মনসিংহ ও টাংগাইল এলাকা সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করে আমাদের মুক্তিবাহিনী ঢাকার দিকে অগ্রসর হবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পূর্বাঞ্চলের এই তিনজন বীর সমর পরিচালক ইতিমধ্যে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এবং একযোগে ঢাকা রওনা হবার পূর্বেই পূর্বাঞ্চলের শত্রুদের ছোট ছোট শিবিরগুলোকে সমূলে নিপাত করবার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

দক্ষিণ-পঞ্চিম অঞ্চলে ই,পি,আর-এর বীর সেনানী মেজর ওসমানের উপর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কুষ্টিয়া ও যশোর জেলার। কুষ্টিয়ার ঐতিহাসিক বিজয়ের পর আমাদের মুক্তিবাহিনী সমস্ত এলাকা থেকে শত্রুবাহিনীকে বিতাড়িত করেছে এবং শত্রুশেনা এখন যশোহর ক্যান্টনমেন্টে ও খলনা শহরের একাংশ আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। মেজর জলিলের ওপর ভার দেয়া হয়েছে ফরিদপুর-খুলনা-বরিশাল-পটুয়াখালীর।

উত্তরবংগে আমাদের মুক্তিবাহিনী মেজর আহমদের নেতৃত্বে বাজশাহীকে শত্রুর কবল থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত করেছেন। মেজর নজুরুল হক সৈয়দপুরে ও মজের নোয়াজেশ রংপুরে শত্রুবাহিনীকে সম্পূর্ণ অবরোধ করে বিব্রত করে তুলেছেন। দিনাজপুর, পাবনা ও বগুড়া জেলাকে সম্পূর্ণ মুক্ত করা হয়েছে। রংপুর ও সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ছাড়া জেলার বাকি অংশ এখন মুক্ত।

স্বাধীনতা সংগ্রামে আমাদের এ অভূতপূর্ব সাফল্য ভবিষ্যতে আরও নতুন সাফল্যের দিশারী। প্রতিদিন আমাদের মুক্তিবাহিনীর শক্তি বেড়ে চলেছে। একদিকে যেমন হাজার হাজার মানুষ মুক্তিবাহিনীতে যোগ দিচ্ছে, তেমনি শত্রুর আত্মসমর্পণের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। আর এই সংগে আমাদের নিয়ন্ত্রণে আসছে শত্রুর কেড়ে নেয়া হাতিয়ার। এই প্রাথমিক বিজয়ের সাথে সাথে মেজর জিয়াউর রহমান একটি পরিচালনা কেন্দ্র গড়ে তোলেন এবং সেখান থেকে আপনারা শুনতে পান স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম কণ্ঠস্বর। এখানেই প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠনের ঘোষণা করা হয়।

আপাততঃ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান কার্যালয় স্থাপিত হয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের মুক্ত এলাকায়। পূর্বাঞ্চলের সরকারী কাজ পরিচালনার জন্যে সিলেট-কুমিল্লা এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের আর একটি কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে।

সূত্র: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র-তৃতীয় খন্ড

চলমান………..

বিএনএনিউজ/জেবি

Loading


শিরোনাম বিএনএ