বিএনএ, রাঙামাটি : রাঙামাটিতে ‘একুশ মানে মাথা নত না করা’ স্লোগানে অমর একুশের বর্ণলিখন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহিদমিনার চত্বরে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতাটি। শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দুই দশক ধরে এমন আয়োজন করছেন বলে জানান আয়োজকরা।
প্রতি বছরের ন্যায় ভোর হতে শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে শহিদমিনার চত্বরে বর্ণলিখন ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আসতে শুরু করেন। প্রথম শ্রেণি থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিশুরা লিখেন অ’আ বর্ণমালা। তিন বিভাগে হয় চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা। কচিকাঁচা শিক্ষার্থীর রং-তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে একুশ/শহিদমিনার, ভাষা শহিদ ও প্রভাত ফেরির চিত্র। তাদের মনের মাধুরী মিশিয়ে আঁকছেন ছবি। শিশুদের মধ্যে ভাষা সংগ্রামের প্রেরণা ও শহীদ মিনারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত করার জন্য এ আয়োজন। প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বিজয়ী ১২০ জনকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা ও গৌরিকা চাকমা, উন্নয়নকর্মী ও উদ্যোক্তা সাগরিকা রোয়াজা, উদীচী সভাপতি ও সচেতন নাগরিক কমিটির নেতা অমলেন্দু হাওলাদার, কবি হাসান মঞ্জু, চিত্রশিল্পী রেজাউল করিম ও মো. ইব্রাহীম। শিশুরা শপথ নেন সুন্দর দেশ গড়ার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরেণ্য শিক্ষাবিদ অঞ্জুলিকা খীসা বলেন- আমি আশাবাদী হয়েছি, এই আয়োজন দেখে। আমার মনে হয়, এখনো সবকিছু নষ্টদের দখলে যায়নি। এখনো শ্বাশত সুন্দর কিছু রয়ে গেছে, যা আগামীর পথচলায় আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, গ্লোবাল ভিলেজের পরিচালক সৈয়দ হেফাজত উল বারি সবুজ, আবৃত্তি সংগঠন আফ্রোদিতির সংগঠক সাইফুল হাসান, শুভসংঘর সভাপতি মং চিং চৌধুরী, বিতর্ক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম ডিবেট ফেডারেশনের সংগঠক তুষার ধর এবং দৈনিক পার্বত্য চট্টগ্রামের সম্পাদক ফজলে এলাহী। শিশুদের নিয়ে আসার জন্য অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আয়োজকরা।
বিএনএনিউজ/কাইমুল ইসলাম ছোটন/এইচ.এম।